যুবদলের কমিটিতে পদ পেতে দৌড়ঝাপ

যুবদলের কমিটিতে পদ পেতে দৌড়ঝাপ

নজরুল ইসলাম লিখন ঃ

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের নতুন কমিটি আসছে। আসন্ন এই কমিটিতে স্থান করে নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে নানা মহলে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জেলা যুবদলের নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে আছেন একঝাঁক তরুণ নেতৃবৃন্দ। তাদের বেশিরভাগই ইতোমধ্যে বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল ও যুবদলের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন। জেলা যুবদলের নেতৃত্বে এগিয়ে আছেন বর্তমান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন। দলের যে কোন কর্মসূচিতেই থাকে খোকনের সরব উপস্থিতি। দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় এই নেতার রয়েছে নিজস্ব কর্মী বাহিনী। দলের সকল কর্মসূচিতেই হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শোডাউন করে থাকেন তিনি। খোকনের নেতৃত্বাধীন জেলা যুবদল ইতোমধ্যে প্রায় সকল থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিট কমিটি ঘোষণা করতে পেরেছে তবে কিছু ওয়ার্ড কমিটি এখনও বাকি আছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিও যুবদলের নেতৃত্বের দৌড়ে বেশ এগিয়ে আছেন। ছাত্রদলের সংগঠক হিসেবে নিজেকে সফল প্রমান করেছেন তিনি। দলীয় সভা সমাবেশসহ সকল কর্মসূচিতে বেশ সক্রিয় এই ছাত্রদল নেতা। ইতোমধ্যে ছাত্রদলের থানাসহ বিভিন্ন ইউনিট কমিটি ঘোষণা করতে পেরেছেন তিনি। এছাড়াও দলের স্থানীয় রাজনীতির পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের কর্মসূচিতে ঢাকাতেও আছে রনির সক্রিয় অংশগ্রহণ। ইউনিট কমিটিগুলো গঠন করতে পারলেও দলীয় কোন্দলের কারনে জেলার পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থ হতে হয়েছে তাকে। জেলা ছাত্রদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীব রয়েছেন জেলা যুবদলের টপ দুইয়ের নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনায়। সজীব সোনারগাঁও থানা বিএনপির আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম মান্নানের ছেলে। এ ছাড়া তিনি সফলতার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জেলা ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। জেলা ছাত্রদলের সকল ইউনিট কমিটি গঠনে তার ভূমিকা ছিল অনন্য। তিনি দলের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছেন। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে নেতাকর্মী নিয়ে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সকল কর্মসূচীতেও নেতাকর্মীদের নিয়ে উপস্থিত থাকেন সজীব। নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান সজীব। যেহেতু আজহারুল ইসলাম মান্নান সোনারগাঁ থেকে নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী তাই এ অঞ্চলে সামনে নির্বাচন বা আন্দোলন সংগ্রামকে কেন্দ্র করে সজীবকে জেলা যুবদলের শীর্ষ পদে দেখতে চান জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা জিয়াউল হক চয়নও জেলা যুবদলের নেতৃত্বে আলোচনায় আছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ কম দেখা গেছে চয়নের। তবে দলের উচ্চ পর্যায়ে তার পক্ষে জোরদার লবিং চলছে। এছাড়াও দলের কেন্দ্রের সাথে তার সুসম্পর্ক আছে। সোনারগাঁ থানা যুবদলের সভাপতি শাহিদুর রহমান স্বপন যিনি সোনারগাঁ যুবদলের আন্তঃকোন্দলের কারিগরও বটে। তিনিও আসন্ন কমিটিতে আলোচনায় আছেন। এর আগে সোনারগাঁও থানা যুবদল কমিটিতে অযোগ্য লোকজন পদায়নের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন স্বপন। তার কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সোনারগাঁও থানা যুবদল কমিটিতে গণহারে পদত্যাগ শুরু হয়ে যায়। নানান অভিযোগ তুলে একের পর এক নেতাকর্মীরা পদত্যাগ করতে থাকেন। এর আগে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির একটি কর্মসূচিতে পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে সমালোচিত হন তিনি। জেলা যুবদলের বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূইয়াও আলোচনায় আছেন। রাজপথে নেতাকর্মীদের নিয়ে বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ২০১৩ সাল থেকে বিএনপির হরতাল, অবরোধসহ নানা আন্দোলন সংগ্রামে তার অগ্রনী ভূমিকা ছিল। দলীয় কর্মসূচি সফল করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন তিনি। জেলা যুবদলের বর্তমান সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম ইমনও আসন্ন কমিটিকে ঘিরে আলোচনায় আছেন। মূলত রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় তিনি। জেলায়ও দলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন তিনি। এছাড়াও সামাজিক নানান কর্মকা- ও করোনা মহামারির সময়ে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাড়িয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেকও আছেন আলোচনায়। নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় বিএনপির একজন নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে বর্তমানে পরিচিত তিনি। দলের কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ তেমন না থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতা তার জন্য বেশ জোরালো লবিং করে যাচ্ছেন। এদিকে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইসমাইল মামুনও জেলা যুবদলের নেতৃত্বে আলোচনায় আছেন। বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামসহ দলের সকল কর্মসূচিতে ছিল তার সক্রিয় অংশগ্রহণ

 

আপনি আরও পড়তে পারেন