যে দোয়া পড়লে সারাদিন হেফাজতে থাকবেন

যে দোয়া পড়লে সারাদিন হেফাজতে থাকবেন

মুসলিমের প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি মুহূর্তই নেক আমল ও সওয়াবের উপযুক্ত। কারণ, ইসলামী নিয়ম অনুসারে জীবন যাপন করলে, প্রতিটি কর্মে সওয়াব ও পুণ্য। তাই কোনো সময়ই নষ্ট করা উচিত নয়। বিভিন্ন আমল ও জিকির-আজকারে নিজের জীবন ঋদ্ধ রাখা চাই।

দিন-রাতের বিভিন্ন সময়ে বহু দোয়া ও জিকির সম্পর্কে হাদিসে অজস্র বর্ণনা রয়েছে। ফজরের পর অনেকগুলো দোয়ার কথাও হাদিসে রয়েছে। আবার এই দোয়াটি কিন্তু মাগরিবের নামাজের পরও পড়া যায়। এতে একই রকম সওয়াব ও ফজিলত লাভ হয়।

দোয়াটি সম্পর্কে আমরা সংক্ষেপে আলোচনা করছি—

যে দোয়ায় গুনাহ মাফ ও শয়তান থেকে রক্ষা

এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দশ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু… পড়বে, বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে, দশটি নেকি লেখা হবে, দশটি গুনাহ মাফ হবে, দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ও এ কালিমাগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে হেফাজতের কারণ হবে। তেমনি মাগরিবের পর পড়লে অনুরূপ সওয়াব মিলবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে থাকবে।

আরবি :

لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তারই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তারই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫১৮)

কোনো কোনো বর্ণনায় ‘ইয়ুহয়ি ওয়া ইয়ুমিতু’ শব্দও রয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪)

কোন সময় এই দোয়া পড়বে

এ ব্যাপারে কয়েকটি বর্ণনা রয়েছে। এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, নামাজের বৈঠক থেকে ওঠার আগে এবং কোনো কথা বলার আগেই পড়বে। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, নামাজের পর পড়বে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৭৯৯০)

আরও যত সওয়াব-ফজিলত

এই দোয়ার ফজিলত সম্পর্কেও নানা বর্ণনা এসেছে। তাই আল্লাহ কাছে আশা করা যায়, তিনি সব রকম সওয়াব ও ফজিলত দান করবেন।

এক বর্ণনায় এসেছে, ‘…তার আমলনামায় একশ নেকি লেখা হবে, একশ গুনাহ মাফ হবে এবং একজন গোলাম আযাদ করার সওয়াব পাবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৮৭১৯)

কোনো বর্ণনায় আছে, ইসমাঈল (আ.)-এর বংশধরের একজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। কোনো বর্ণনায় এসেছে, দশজন গোলাম আজাদের সওয়াব পাওয়া যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৭৭; তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৩৫৬৮)

বর্ণনায় কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। তবে আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো, ফজর ও মাগরিবের পর এই দোয়ার আমলের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফ করেন এবং পুরো সময়জুড়ে তাকে বিভিন্ন অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন