যে ভুলে ক্ষয়ে যাচ্ছে মেরুদণ্ডের হাড়

যে ভুলে ক্ষয়ে যাচ্ছে মেরুদণ্ডের হাড়

আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল মেরুদণ্ড। সোজা হয়ে দাঁড়ানো, হাঁটা-চলা করা এবং ভার বহনে মেরুদণ্ডের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। মেরুদণ্ডের কোনো সমস্যা হলে জীবিত থাকবো ঠিকই কিন্তু তা হবে শুধুই জড় পদার্থের মতো বেঁচে থাকা। অথচ নিজেরাই গুরুত্বপূর্ণ এই অংশের ক্ষতি করে চলেছি নিরবে। বেখেয়ালে করা কিছু ভুল মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয় করে দিচ্ছে মারাত্মকভাবে। তাই প্রতিদিনের করা সে ভুল সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকা জরুরি। যেমন-

সঠিকভাবে চেয়ারে না বসা

সঠিকভাবে চেয়ারে না বসার কারণে মেরুদণ্ডের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। এতে মেরুদণ্ডের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। একাধারে এমন চাপ সহ্য করতে না পেরে মেরুদণ্ডের হাড় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মেরুদণ্ড বাঁকানো

অনেকের অভ্যাস আছে, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পরে হঠাৎ আড়মোড়া ছাড়তে মেরুদণ্ড বাকিয়ে নেন। দেহের আড়ষ্ঠতা ভাঙতে হুট করেই মেরুদণ্ডের ওপর এমন চাপ অনেক বেশি ক্ষতিকর। এতে খুব দ্রুত হাড় ক্ষয়ে যেতে পারে। আর এই ক্ষয় হাড় ভঙ্গুরের অন্যতম কারণ।

ভারী জিনিস তোলা

সোজা হয়ে দাঁড়ানো থেকে কোমর বাঁকা করে নিচু হয়ে মেঝে থেকে ভারী জিনিস তোলার মতো কাজ আমরা অনেকেই করি। এই অভ্যাস মেরুদণ্ডের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই কাজটি করা মোটেও উচিৎ নয়। ভারী জিনিস তোলার ক্ষেত্রে আগে কিছু সময় দেহে শীথিলতা এনে নিতে হবে।

আধশোয়া থাকা

বই পড়া বা ল্যাপটপ চালানোর সময় দীর্ঘক্ষণ বিছানায় আধ শোয়া হয়ে থাকতে হয়। এতে আমাদের মেরুদণ্ডের ক্ষতি করে অনেক। এছাড়াও সোফায় শুয়ে শুয়ে টিভি দেখার অভ্যাসটিও খুবই খারাপ।

একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা

একইভাবে অনেকক্ষণ থাকা আমাদের মেরুদণ্ডের জন্য অনেক ক্ষতিকর। একটানা বসে থাকা বা একটানা দাঁড়িয়ে থাকা দুটোই মেরুদণ্ডের ওপর অনেক চাপ ফেলে। তাই ২০ মিনিট পরপর অবস্থান পরিবর্তন করা উচিৎ।

দীর্ঘদিন ম্যাট্রেস ব্যবহার

আমাদের ঘুমানোর বিছানাটি যদি আরামদায়ক না হয়, তবে মেরুদণ্ডে ব্যথা হবেই। খাটে ব্যবহৃত ম্যাট্রেস ৮ থেকে ১০ বছরের পুরাতন হলেও অনেকে তা পরিবর্তন করেন না। বেশি সময় পার হয়ে গেলে ব্যবহৃত ম্যাট্রেস অতিরিক্ত শক্ত বা নরম হয়ে যায়। এমন বিছনিায় প্রতিরাতে শোয়ার কারণে বাঁকিয়ে থাকা মেরুদণ্ড একসময় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

ভারী ব্যাগ বহন করা

একটানা ভারী ব্যাগ বহন করলেও মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে এক কাধে ভারী ব্যাগ বহন করার অভ্যাস তৈরি হলে, তা আমাদের মেরুদণ্ডের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। তাই মেরুদণ্ডের সুস্থতায় ব্যাগ হালকা রাখার চেষ্টা করতে হবে।

হাই হিল পরার অভ্যাস

অতিরিক্ত হাই হিল পরার কারণে মেয়েদের মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে। উচু হিল পরলে দেহের হাড়ের জোড়া গুলোতে চাপের সৃষ্টি হয়।এতে ব্যথার জন্ম নেয়। কিন্তু অনেক মেয়েই এই ব্যাপারটি অবহেলায় এড়িয়ে চলেন।

মানসিক চাপ

যারা সহজেই ক্ষমা করে দিতে পারে, তাদের মানসিক চাপজনিত রোগে কম হয়। তাদের মাঝে হতাশা, রাগ, শারীরিক ব্যথাও কম হয়। কিন্তু যারা তা না পারেন তাদের অবস্থা হয় বিপরীত। আমাদের মনের আবেগ আর মানসিক অবস্থার প্রভাব দেহের মাংসপেশিতেও পড়ে। যা থেকে সৃষ্টি হতে পারে পিঠে ব্যথা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment