রাউজানে আর্জেন্টিনার পতাকা লাগাতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত যুবক হাসপাতালে


অামির হামজা রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

ভক্ত বলে কথা, প্রিয় দল আর্জেন্টিনা বলতেই পাগল ছেলেটি। ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টনা দলের খেলা আকর্ষণ করতো তার চিত্তকে। বিশ্বকাপের খেলা গনিয়ে আসায় চাকুরির টাকায় প্রিয় দলের পতাকা বানিয়ে সেটি উত্তোলন করতে গিয়েই ১১ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইনের একটি তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন রাউজানের রাউজান ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইসহাক কোম্পানী বাড়ির মো. সেলিমের পুত্র মো. আরমান (২০)। তবে এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেলেও শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে তার। বর্তমানে গহিরার জে কে মেমোরিয়াল হাসপাতালের বেডে যন্ত্রনাময় মুহুর্ত পার করছেন আরমান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার চিকিৎসার উন্নতি না হলে তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ০২ জুন শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাগতিয়া বাজারে একটি ভবনের দোতলায় উঠে প্রিয় দল আর্জেন্টিনার পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের তারের সাথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারাত্মক আহত হন আরমান। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গহিরা জে কে মোমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন আরমান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নানার বাড়িতে (রাউজান ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর এলাকার বদিউজ্জামান বাড়ি) বসবাস করে আসছিল আরমান। কাগতিয়া সিএনজি টেক্সী স্টেশনে কাশেম ব্রাদার্স নামের একটি মুদির দোকান কাজ করতো সে। গহিরা জেকে মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাসপাতালের বেডে শুয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, ছোটবেলা থেকে আমি আর্জেন্টিনার ভক্ত। প্রিয় ফুটবলার মেসির দলের পতাকা লাগাতে গিয়ে আহত হয়েছি। নিজের চাকুরির টাকায় প্রিয় দলের পতাকা বানিয়ে অনেক আনন্দ পাই।

গহিরা জেকে মেমোরিয়াল হসপিটালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জগতিস বড়–য়া বলেন, ‘২ জুন শনিবার বিকালে বিদ্যুতায়িত হয়ে আহতাবস্থায় আরমান নামের এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের তত্বাবধানে আছে। তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেকে ) প্রেরণ করা হবে।’আহত আরমান ২ ভাই, ১ বোনের মধ্যে সবার বড় বলে জানা গেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment