রাজশাহীর পদ্মার চরে বুদবুদ করে উঠছে গ্যাস!

রাজশাহীর পদ্মার চরে বুদবুদ করে উঠছে গ্যাস!

Brand Bazaar

রাজশাহী নগরীর টি-বাঁধ এলাকায় পদ্মার চরের একটি স্থানে থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস উঠছে।বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের নজরে আসে। তারা সেই আগুনে চা তৈরি করেও পান করেছেন।পদ্মার চরে গ্যাস উঠতে দেখে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ম্যাচ মারলেই সেখানে জ্বলছে আগুন।

রাজশাহীর পদ্মার চরে বুদবুদ করে উঠছে গ্যাস!

জানা গেছে, মহানগরীর শ্রীরামপুর এলাকার পদ্মার পাড়ে এই গ্যাস উঠছে। রান্নার সুবিধার্থে মাঝিরা পাশাপাশি পাঁচটি লোহার পাইপও পুঁতেছেন। এর মধ্যে ইট দিয়ে একটি পাইপের চারপাশ ঘিরে চলছে রান্নাবান্নার কাজ। বাকি চারটি পাইপের মুখ বন্ধ রাখা হচ্ছে। বিষয়টি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন আশপাশের মানুষ।

রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর টি-বাঁধ এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন (৩৫) জানান, চরের তিন-চারটি স্থানে বুদ বুদ করে তরল দ্রব্য বের হতে থাকে। গ্যাসের মত গন্ধ হওয়ায় তারা আগুন জানিয়ে পরীক্ষা করেন।

শ্রীরামপুর এলাকার পাতান আলী (৫০) জানান, প্রায় এক যুগ আগে এ এলাকায় একইভাবে বুদবুদ করে অবিরাম গ্যাস উঠছিল। সে সময় সেখানে পাইপ বসানো হলে মুখ দিয়ে গ্যাস বের হত। তবে বর্ষার পর ওই এলাকায় চর পড়ে গেলে পরে আর দেখা যায়নি। এবারে বর্ষায় সেই চর কেটে যাওয়ায় আবারো গ্যাস বের হচ্ছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘বিষয়টা আমিও শুনেছি। এটা কোন খনির নয়, বায়োজেনিক গ্যাস। অতীতে গাছপালা, কচুরিপানা বা জীবাশ্ম পচে যাওয়ায় কিছু গ্যাস জমা হয়। সেই গ্যাসই উঠে আসছে। এর পরিমাণ খুব সামান্য। তবে এতে পাইপ লাগিয়ে আগুন দিয়ে পরীক্ষা করা ঠিক নয়। আগুন দিলে যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।’

এ ব্যপারে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি (পিজিসিএল) রাজশাহীর ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

এর আগে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজশাহী মহানগরীর অদূরে পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের নবগঙ্গায় পদ্মা নদীর চরে এভাবেই অবিরাম গ্যাস নির্গত হয়। প্রায় এক একর এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় অন্তত: ৩০টি ছোট-বড় গর্তের। তবে পরে সেখানে আর গ্যাস পাওয়া যায়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment