রোজিনা ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিতে চাইলেও সে রাতে ছাড়া হয়নি!

রোজিনা ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিতে চাইলেও সে রাতে ছাড়া হয়নি!

পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গত সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির চেষ্টার অভিযোগে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সোমবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিতে চাইলেও সে রাতে ছাড়া পাননি রোজিনা ইসলাম।

রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডিবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

মঙ্গলবার রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার তার জামিনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

রোজিনা ইসলামের সহকর্মীরা বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। সচিবালয়ে আটকে রাখার সময় রোজিনাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ করেছে তার পরিবার। বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছে রোজিনাকে।

রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার আরেকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো একটি কক্ষে সোফায় বসে আছেন রোজিনা ইসলাম। প্রশাসনের কোনো ব্যক্তি বলছেন- ‘আপনার পরিচয় আছে, আপনি যে কাজটা করছেন….।’

তখন রোজিনা ইসলাম বলেন, ‘আমি তো ভুল করছি, আমি তো বললাম। আমি মুচলেকা দিচ্ছি।’ তিনি আবারও বলেন- ‘আমি মুচলেকা দিয়ে দিচ্ছি।’

এ সময় প্রশাসনের আরেক নারী সদস্য বলেন, ‘আপনাকে তো কেউ চেনে না, আপনি কিসের মুচলেকা দেবেন।’

জিজ্ঞাসা করা প্রশাসনের ওই প্রথম ব্যক্তি আরো বলেন, ‘আপনার তো আইডেন্টিটি কার্ড আছে। কিন্তু আপনি আজকে যে কাজটা করেছেন সেটা আইনগত অপরাধ, সহজ কথা।’

তখন আরেক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘যে কাজ করেছেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুচলেকা দিয়ে কোনো লাভ হবে না।’

তখন কোনো একটা বিষয় নিয়ে রোজিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘না, আমি কিছু করতে পারবো না। আমি তো বলছিই।’

আপনি আরও পড়তে পারেন