‘শচিনের সাফল্যের তুলনায় ব্যর্থতাই বেশি।’

ভারতীয় ক্রিকেটের ঈশ্বর বলা হয় তাকে। ব্যাটিং ঝলকে নিজেকে নিয়ে গেছেন কিংবদন্তীর পর্যায়ে। তার নামে ভারতে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রার্থনাও হয়। তিনি সফলতার কাছে নয় সফলতাই তার কাছে আসত, এমনটাও বলেন অনেকে। সেই শচিন টেন্ডুলকারের জীবনেই নাকি সফলতার থেকে ব্যর্থতার ভাগই বেশি। এমনটাই জানালেন ভারতের আরেক কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়

গুরুজনরা বলে গেছেন বিফলতাই সফলতার ভিত। আর সেই ভিতের উপরেই দাঁড়িয়ে আছেন আজকের শচিন। বুধবার বেঙ্গালুরুতে ক্রীড়াবিদদের নিয়ে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই তরুণ খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতেই নিজের ও শচিনের জীবনের ব্যার্থতার উদাহরণ টেনে এনেছেন ‘দ্যা ওয়াল’ দ্রাবিড়।

শচিনের আজকের সফলতার পিছনে ছিল লম্বা ব্যর্থতার গল্প। সে প্রসঙ্গে দ্রাবিড় বলেন, ‘আমার সময়কার সেরা ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকার। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। কিন্তু ভারতের হয়ে সব ফর্ম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে ৭৮১ বারের মধ্য ৫১৭ বারই হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ফলে শচিনেরও সাফল্যের তুলনায় ব্যর্থতাই বেশি।’

এর আগে অবশ্য নিজের ক্যারিয়ারের ব্যর্থতার কথা বলতেও ভোলেননি টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে মোট রান ২৪,১৭৭ রান করা দ্রাবিড়। ক্যারিয়ারে ৪৮ সেঞ্চুরির মালিক বলেন, ‘আমার সময় অর্ধশতরানকে ন্যুনতম ভালো স্কোর বলে বিবেচনা করা হত। সব ফর্ম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে আমি ভারতের হয়ে ৬০৪ বার ব্যাট করেছি। তার মধ্যে ৪১০ বারই ৫০ রানের গণ্ডি পেরুতে পারিনি। আমি যত না সাফল্য পেয়েছি, তার থেকে বেশি ব্যর্থ হয়েছি।’

ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন ব্যর্থতায় ভেঙে না পড়ে, এ কারণেই দ্রাবিড়ের এমন উদাহরণ টেনে আনা। হতাশ না হয়ে দ্বিগুণ তেজে জ্বলে উঠতে হবে। নিজের ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে। তাহলেই সাফল্য আসবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment