শিক্ষানগরীতে লাইব্রেরি ও স্টেশনারির দোকানে বেড়েছে ব্যস্ততা।

শিক্ষানগরীতে লাইব্রেরি ও স্টেশনারির দোকানে বেড়েছে ব্যস্ততা।

মোঃমাসুদ আলম রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

শিক্ষা নগরী রাজশাহী।এই শহরে গড়ে উঠেছে নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।বিভিন্ন উপজেলা, জেলা, এমনকি বিভাগীয় শহর থেকে ছুটে আসে শিক্ষা লাভের জন্য  চিরচেনা এই শহরে। করোনার কারনে ১৮ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এর ফলে হোস্টেল ও মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা ফিরে মাতৃনীড়ে।

দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধের পরে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে যথাযথ স্বাস্হ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান  খোলার সিদ্ধান্ত হয়।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার খবরে শিক্ষার্থীরা ফিরতে শুরু করেছে শহরে। সেই সাথে লাইব্রেরী ও স্টেশনারীর দোকান গুলোতে বেড়েছে ব্যস্ততা।শনিবার  (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর নিউ মার্কেট,আর,ডি মার্কেট,ও সাহেব  বাজার জিরো পয়েন্ট এর পাশে সোনাদিঘী মোড় , সমবয় সুপার মার্কেট ও রাজশাহী সিটি সেন্টার এর লাইব্রেরি, স্টেশনারি ও ড্রেস সেন্টার গুলোতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

রাজশাহী সিটি সেন্টারের সবুজ লাইব্রেরিতে বই কিনতে আসা একাদশ শ্রেণির ছাত্র সুমনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন দীর্ঘদিন যাবৎ কলেজ বন্ধ থাকার কারণে বইয়ের দোকানে আসা হয়নি কিন্তু এখন কলেজ খুলেছে পড়াশোনা নতুন করে শুরু করতে  হচ্ছে । তার জন্য এখন আমার উচ্চতর গণিত সহ বেশ কিছু বইয়ের প্রয়োজন। তাই বই কেনার জন্য লাইব্রেরীতে এসেছি। লাইব্রেরীতে এসে দেখি অন্যদিনের তুলনায় ভীড় বেশি। অন্যদিকে  একজন অভিভাবক এর সাথে আলাপকালে
তিনি জানান, ‘দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল। কাগজ ও কলম থাকলেও তা শেষ পর্যায়ে। ক্লাস শুরু হওয়ায় এখন খাতা কলম সহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ প্রয়োজন। তাই, কাগজ ও এক ডজন কলম কিনে দিলাম। এছাড়াও আরও একজন অভিভাবক বলেন আমার ছোট্ট বাচ্চাটা স্কুল ব্যাগের জন্য বায়না করেন তার বায়না পূরণ করতে বাজারে এসে দেখি ব্যাগের মূল্য অনক বেশি। কিন্তু করার কিছুই নেই বাচ্চার দাবি পূরণ করতে হবে। তাই বাচ্চার জন্য একটি স্কুল ব্যাগ নিলাম।

এছাড়াও সমবায় সুপার মার্কেটের প্যাপাইরাসের ব্যবসায়ী জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর থেকে বিক্রি বেড়েছে। ছেলে-মেয়েরা নিজে ও তাদের অভিবাবকদের সাথে কাগজ, কলম, প্যানসিল, জ্যামিতি বক্সসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে আসছে। অনেক দিন পরে ব্যবসা জমেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন