শেখ হাসিনা যতদিন থাকবে ততদিন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শেখ হাসিনা যতদিন থাকবে ততদিন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বহুল প্রতিক্ষীত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। কিছুক্ষণের মাঝেই মাওয়া পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে সপ্নের এই প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আজকের এই দিনে  সারা বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনা যতদিন থাকবে ততদিন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কাজেই নির্বাচনের প্রশ্নে সবাই উদগ্রীব হয়ে বসে আছেন আবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জয়যুক্ত করার জন্য।

আজ শনিবার (২৫ জুন)  সকালে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের সমাবেশস্থলে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি শুধু পদ্মা সেতু না, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সম্ভাবনার বাংলাদেশ তৈরি করে দিয়েছেন, আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন, এটার জন্য তিনি যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন।

সপ্নের এই প্রলল্প উদ্ভোদনের সঙ্গে খুলে যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অপরাপর অংশের জন্য সংযোগ, যোগাযোগ ও সম্ভাবনার অনন্ত দুয়ার। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। মাওয়া থেকে জাজিরা। পদ্মা সেতু সড়ক, রেল, গ্যাস, বিদ্যুতের সংযোগ ঘটাবে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের। নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে আছে সংযোগ সড়ক, রেল সংযোগ, নদীশাসন, পুনর্বাসন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা—নানা প্রকল্প ও কর্মকাণ্ড।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এবং আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা।

এদিকে সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বৃহত্তম স্ব-অর্থায়নকৃত এ মেগা প্রকল্পের জমকালো উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির সময়সূচী অনুযায়ী মাওয়া পয়েন্টে সকাল ১১টায় তিনি স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করবেন।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন আজ হলেও সেতুর ওপর দিয়ে পরদিন (রোববার) সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। সেতুটি রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য প্রধান শহরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ২১টি জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক অগ্রগতি আনবে। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এই সেতু দিয়ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের সুবিধা পাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন