শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে ফসলের মাঠে দোহার নবাবগঞ্জের কৃষকরা

শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে ফসলের মাঠে দোহার নবাবগঞ্জের কৃষকরা

আবুল হাশেম ফকির 
জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঘর থেকে বের হওয়াই যেন দায়। তবে এর মধ্যে শীতের ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে জমিতে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকা জেলার দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলার কোঠাবাড়ি বিল, আড়িয়াল বিল সহ অন্যান্ন বিলের কৃষকরা। 


নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার নাহিদুজ্জামান দৈনিক আগামীর সময়কে জানান, চলতি মৌসুমে নবাবগঞ্জ উপজেলায় সর্বোচ্চ (১০৯২৬) দশ হাজার নয়শত ছাব্বিশ হেক্টর  জমিতে বোরো (আবাদের) চাষের কার্যক্রম শুরু হয়ে শেষ পর্যায় এবং পরিচর্যার কাজ চলছ। তাই কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে কৃষকরা এ অঞ্চলের প্রবাদের কথা মাঘের শীত বাঘের গায় এমনটা ভেবে কোমর বেঁধে নেমেছেন  বোরোধান রোপণের কাজে। তীব্র শীত ও কয়েকদিন টানা কুয়াশা পড়লেও বড় ধরনের শৈত্যপ্রবাহ না থাকলে এবার নবাবগঞ্জে কোথাও বোরোর বীজতলা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনার খবর পাওয়া যায়নি। 

তবে ঘনঘন  শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিলে ধানের চারাগাছে কোল্ড ইনজুরি হয় তাতে ধানের ফলন কম হয়।তবে এসব কোন সমস্যা যদি না হয় ইনশাআল্লাহ গতবারের চেয়ে  অধিক ফলন হবে বলে জানান কৃষি অফিসার নাহিদুজ্জামান। তাছাড়া  কৃষকদের আপাতত ধানের চারা নিয়ে চিন্তিত হতে হচ্ছে না।দোহার উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মামুন ইয়াকুব দৈনিক আগামীর সময়কে একই তথ্য দিয়ে জানান দোহারে এবার (১১৫০) এগারো শত পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে বোরোধানের আবাদ হয়েছে, ঘন কুয়াশা ও ঘনঘন শৈত্য প্রবাহ এবং প্রাকৃতিক কোন সমস্যা না হলে গতবারের চেয়ে অধিক ফলন হবে বলে জানান। 


সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকালে বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপশি জমি চাষের কাজ প্রায়ই শেষ। চলছে পরিচর্যার কাজ। বাড়ীর পাশে ভিটা, ও নিচু জমিসহ আশেপাশের সব ধরনের জমিতে বোরোধান চাষে মেতেছে কৃষকরা। কারন চলতি রোপা আমন ধান কাটা মৌসুমে ধানের মূল্য বেশি থাকায় খুশি দোহার নবাবগঞ্জ এলাকার কৃষকরা। যে কারনে এবার কোন জমি ফেলে রাখতে চায়না তারা, সেজন্য জমিতে সেচ দিয়ে চাষের কাজে ব্যস্ত কৃষকরা। এছাড়া কোথাও গভীর নলকুপের পানি ব্যহবার করে চলছে সেচ কার্যক্রম। আবার কেউ কেউ নতুন করে বোরো চাষের জন্য দ্রুত গভীর নলকুপ বসাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলার কোঠাবাড়ি বিলের চাষি শেখ বাবুল ও জাহাঙ্গীর সহ একাধীক চাষী জানান, চলতি মৌসুমে ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় উৎসাহ বেড়েছে কৃষককূলে। অন্যদিকে সরকার বাজারে কৃষি উপকরণ অথ্যাৎ সার, বীজের দাম স্বাভাবিক রাখায় বোরো চাষে ব্যয় কমেছে। এছাড়া আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ  অনুকূলে এবং ধানের মূল্য এমনটা থাকলে তারা বাম্পার ফলনের আশা করছেন দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলার কোঠাবাড়ি বিল, আড়িয়াল বিলে সহ অন্যন্ন বিলের  কৃষকরা।

এদিকে পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি ঢাকা-২ জানান, বোরোধান মৌসুমে বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিদ্যুৎ এর উপর চাপ পরে তাই শীত মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই কেরানীগঞ্জ ও নবাবগঞ্জ উপজেলার চালনাইর পাওয়ার গ্রিডের শুভ উদ্ভোদন এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংকট নয় বরং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দেওয়ার    পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে বিদ্যুৎ সমিতি ঢাকা-২ সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা।

আপনি আরও পড়তে পারেন