শ্রীলঙ্কাকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কাকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৭১/৪ ( মাহমুদউল্লাহ ১০* ও মুশফিক ৫৭*; আফিফ ৭, নাঈম ৬২, সাকিব ১০, লিটন ১৬)

মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরির পর আফিফ আউট

 

আফিফ হোসেনকে নিয়ে বড় প্রত্যাশা। কিন্তু তা পূরণ করতে পারছেন না তিনি। প্রথম রাউন্ডে ১৮, ১ ও ২১ রান করেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ রান করে রান আউট হলেন লাহিরু কুমারার সরাসরি থ্রোতে।

হাফ সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক

মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি। ৩২ বল খেলে চারটি ৪ ও দুটি ছয়ে ফিফটি করলেন তিনি। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে একটি সিঙ্গেল নিয়ে উদযাপন করেন মুশফিক

 

দারুণ ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে নাঈম

দারুণ আরেকটি ইনিংস উপহার দিয়ে বিদায় নিলেন মোহাম্মদ নাঈম। ওমানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৬৪ রানের ইনিংস। পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে শূন্য হাতে ফিরলেও সুপার টুয়েলভেও হাসল তার ব্যাট। ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৫১ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত সংগ্রহ এনে দিয়ে আউট তিনি। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে বিনুরা ফার্নান্ডোকে ফিরতি ক্যাচ দেন। ৫২ বলে ৬ চারে ৬২ রান করেন নাঈম। উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসের সঙ্গে ৪০ রান করেন তিনি।

চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি নাঈমের

লিটন ও সাকিব দ্রুত ফিরে গেলেও মুশফিকুর রহিম উপযুক্ত সঙ্গ দিচ্ছেন মোহাম্মদ নাঈমকে। দুটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। নাঈম চতুর্থ চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করেন ৪৪ বল খেলে। একই সঙ্গে দল একশ পার করেছে।

১০ রান করে আউট সাকিব

পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করা সাকিব আল হাসান সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না। সপ্তম ওভারে চারিথ আসালানকাকে দুটি চার মেরেছিলেন। কিন্তু পরের ওভারে চামিকা করুণারত্নের বলে বোল্ড হন। ৭ বলে ১০ রান করেন সাকিব।

লিটন-লাহিরুর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

লাহিরু কুমারার বল একটু বাঁয়ে সরে এসে ড্রাইভ করলেন লিটন দাস।  মিড অফ দিয়ে বল যাওয়ার কথা। সেখানে মাথার উপর দিয়ে বল যেতে দিলেন না দাসুন শানাকা। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ধরে ফেললেন। আউট লিটন। হঠাৎ করে ক্যামেরা চলে গেল লিটন আর লাহিরুর দিকে। দুজনের তর্কাতর্কি। নাঈম লিটনের পেছন থেকে এসে ধাক্কা দেন লাহিরুকে। দুজনকে ছাড়াতে শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত।

পাওয়ার প্লে শেষ করতে পারেননি লিটন

আশা জাগানিয়া শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে সুবিধা করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটি সতর্ক ছিলেন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার কোনো উইকেট না হারিয়ে শেষ করার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু লাহিরু কুমারার পঞ্চম বলে মিড অফে দাসুন শানাকাকে ক্যাচ দেন লিটন। ১৬ বলে ২ চারে ১৬ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৪২ রান বাংলাদেশের।

স্বস্তি ফেরাচ্ছেন নাঈম-লিটন

স্বস্তি ফেরাচ্ছেন মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাস। চার ওভার শেষে ২৯ রান যোগ হয়েছে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে একটি করে বাউন্ডারি মেরেছেন নাঈম। দুটি চার মেরেছেন লিটনও।

ধীর ব্যাটিংয়ে শুরু বাংলাদেশের

মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাস আবারো উদ্বোধনী জুটিতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওভারে ২ রান করেছেন তারা। তৃতীয় বলে চামিকা করুণারত্নের স্কয়ারে পাঠিয়ে রানের খাতা খোলেন মোহাম্মদ নাঈম। পরের ওভারে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। বিনুরা ফার্নান্ডোর চতুর্থ বলে ফাইন লেগ দিয়ে চার মারেন লিটন। ২ ওভার শেষে রান ৯।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রথম রাউন্ডের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কা, আর অন্য গ্রুপের রানার্স আপ হয়ে মূল পর্বে বাংলাদেশ। উপমহাদেশীয় দুই প্রতিপক্ষ এবার মুখোমুখি। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছে বাংলাদেশ।

টস জেতার পর ফিল্ডিং নেওয়া প্রসঙ্গে লঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা বললেন, ‘আইপিএলের পর উইকেট কিছুটা মন্থর। প্রস্তুতি ম্যাচ ও তিনটি ম্যাচ জিতে দলের পরিবেশ সত্যিই ভালো। মাহিশ ঠিকশানা ফিট নয়। তার জায়গায় এসেছে বিনুরা ফার্নান্ডো।’ ব্যাটিং পেয়ে খুশি মাহমুদউল্লাহ, ‘আমরা ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। আশা করি এটা ব্যাট করার জন্য ভালো। প্রথম হারের পর স্বস্তি এসেছে দলে। ছেলেরা শিথিল আছে। আমাদের একটি পরিবর্তন। তাসকিন খেলছে না।’

প্রতিপক্ষ চেনা, শারজার উইকেট দেখেও অনেকটা চেনা চেনা ঠেকছে। বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কাছে ঢাকার পিচ মনে হচ্ছে। তাতে স্বাভাবিকভাবে প্রত্যাশা থাকবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যে পারফরম্যান্স করে, সেটাই যেন করে তারা। এক্ষেত্রে বল হাতে স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। আজ সফল হলে মূল পর্বে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পাবে বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল তারা।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, লিটন দাস, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ নাঈম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুশফিকুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, নুরুল হাসান সোহান, সাকিব আল হাসান।

শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড: দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), চারিথ আসালানকা, দুষ্মন্ত চামিরা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, বিনুরা ফার্নান্ডো, আভিষ্কা ফার্নান্ডো, চামিকা করুণারত্নে, লাহিরু কুমারা, পাথুম নিসানকা, কুশল পেরেরা, ভানুকা রাজাপাকসা।

আপনি আরও পড়তে পারেন