সপরিবারে নিখোঁজ অনেকে

সপরিবারে নিখোঁজ অনেকে

ইয়েমেনি-আমেরিকান আল-কায়েদা নেতা আনওয়ার আল আওলাকির সঙ্গে দেখা করতে ২০১০ সালে ইয়েমেন গিয়েছিলেন পাঁচজন বাংলাদেশি। তাঁদের দুজনের নাম রেজওয়ান শরীফ ও মইনুদ্দিন শরীফ। তাঁরা দুই ভাই। তাঁদের বাবার নাম মৃত কাজী মোস্তাইন শরীফ। ঢাকার কাঁঠালবাগান এলাকায় তাঁদের বাড়ি। সেই সময় ইয়েমেনে ধরা পড়ার পর তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। একজন গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু তারপর থেকেই মা, বড় ভাই ও ভাবিসহ তিনি নিখোঁজ।

সপরিবারে নিখোঁজ অনেকে

আনওয়ার আল আওলাকির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কাজী মো. রেজওয়ানুল আহসান নাফিজের। এফবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, আওলাকির পরামর্শেই নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে নাফিজ। এই অভিযোগে ২০১৩ সালের আগস্টে ৩০ বছরের কারাদণ্ড হয় ২২ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাফিজের।

দেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি তত্পরতার প্রেক্ষাপটে এই বিষয়গুলো এখন খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী  বাহিনী। রেজওয়ান শরীফ ও মইনুদ্দিন শরীফ এখন কোথায় আছেন সেই খোঁজ চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে যে নিখোঁজ তালিকায় ২৫ জনের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে এখনো এ দুই ভাইয়ের নাম আসেনি।

তাঁরা প্রায় দুই বছর ধরে নিখোঁজ : গতকাল সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শরীফ পরিবারের চার সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন। মইনুদ্দিন শরীফ (৩১), তার স্ত্রী তানিয়া শরীফ (২৫), ভাই রেজওয়ান শরীফ (২৯) ও মা পান্না শরীফ (৫২) প্রায় দুই বছর ধরে নিখোঁজ। কুয়াকাটায় বেড়ানোর কথা বলে তাঁরা বাসা থেকে বের হন। তাঁরা আর বাসায় ফেরত আসেননি। তবে নিখোঁজের ব্যাপারে কেউ পুলিশকে অবহিত করেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পান্না শরীফের ১১৫ ক্রিসেন্ট রোড কাঁঠালবাগানের আবেদা মঞ্জিলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির কেয়ারটেকার মোহাম্মদ মিলন মিয়া তাঁদের নিখোঁজ হওয়ার কাহিনী কালের কণ্ঠ’র কাছে উপস্থাপন করেন। চার তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকে পান্না শরীফের পরিবার। বাড়িটি তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তি। মিলন কালের কণ্ঠকে বলেন, “২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বিকেলে পান্না শরীফ ও তাঁর ছোট ছেলে রেজওয়ান শরীফ লাগেজসহ বাসা থেকে বের হন। যাওয়ার সময় খালাম্মা বলেন, ‘আমরা বেড়াতে কুয়াকাটা যাচ্ছি। ফিরতে সপ্তাহখানেক লাগবে।’ তারপর থেকে তাঁরা আর বাসায় ফেরেননি। তাঁদের মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এর আগে ২০১৩ সালে এ বাড়ির বড় ছেলে মইনুদ্দিন শরীফ নিখোঁজ হন। তাঁর নিখোঁজের মাস ছয়েক পর তাঁর স্ত্রী তানিয়া শরীফও নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁরা কোথায় গেছেন তা বলতে পারছি না। স্বজনরাও বলতে পারছে না। তাঁরা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে চলে গেছেন কি না তাও জানি না। কিছুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাসায় এলে তাঁদের নিখোঁজের ব্যাপারটি প্রকাশ পায়।’

মিলন জানান, ২০১৩ সালের শেষের দিকে একটি মামলায় রেজওয়ান শরীফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কয়েক মাস কারাবাস করে তিনি জামিন পান। বাড়িটিতে শরীফ পরিবারের অন্য স্বজনরা থাকেন। তবে নিখোঁজের ব্যাপারে কেউ পুলিশকে অবহিত করেননি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যরা ধার্মিক। তারা এলাকায় ভদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবেই পরিচিত। একমাত্র মেয়ে শান্তা শরীফ কানাডায় থাকেন। সাড়ে তিন বছর আগে আংকেল মোস্তাইন শরীফ মারা যান। তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী। নিখোঁজ হওয়ার বছর খানেক আগে রেজোয়ানের সঙ্গে স্ত্রী রিজিকা শরীফের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাদের  সংসারে আবদুল্লাহ (৮) ও ওমামা (৭) নামে দুটি সন্তান আছে।

নিখোঁজের ব্যাপারে মঈন উদ্দিনের চাচি সাদিয়া আক্তার মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ওরা নিখোঁজ হয়েছে প্রায় দুই বছর। দেশে জঙ্গি হামলা হওয়ার পর এখন ভয় লাগছে তারা আসলে কোথায় আছে। তবে তারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত আছে কি না তা বলতে পারব না। তাঁরা কুয়াকাটা বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হন।’

এত দিন পরিবারের চারজন সদস্য নিখোঁজ হয়ে আছেন থানা পুলিশকে অবহিত করেননি কেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি কেন পুলিশকে অবহিত করব? তার বোন বা অন্য স্বজনরা তো আছে, তারা পুলিশকে জানালে পারত। তবে তাঁরা ফিরে আসুক, এটা আমরা চাই।’

পরিবারের চার সদস্য নিখোঁজের ব্যাপারে এলাকার লোকজনও কিছু বলতে পারছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, ‘ওই বাড়িতে পুলিশ-র্যাব আসার পর আমরা জানতে পারি ওই পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। নিখোঁজ হওয়ার আগে দুই ভাই একদিন আমাকে ইসলামের পথ অনুসরণ করতে বলেন। তাঁরা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবেন, তা বিশ্বাস করতে পারছি না।’

কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান কালের কণ্ঠকে জানান, একই পরিবারের চার সদস্য নিখোঁজের ব্যাপারে খোঁজখরব নেওয়া হচ্ছে। থানায় জিডি করা হয়েছে কি না তা এ মুহূর্তে বলতে পারব না।

তালিকাভুক্ত ২৫ জনের মধ্যে একজন সেজাদ রউফ ওরফে অর্ক ওরফে মরোক্ক কল্যাণপুরের জাহাজবাড়িতে  ‘অপারেশন স্ট্রর্ম-২৬’-এ নিহত হয়। বাকি ২৪ জন এখনো নিখোঁজ। এদের মধ্যে তাওসীফ হোসেনকে বেশি বিপজ্জনক বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এই ২৪ জনের মধ্যে কয়েকজন সিরিয়ায় অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে তিনজন পরিবারের সব সদস্যসহ সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে।

স্ত্রী ও এক মাসের সন্তানসহ সিরিয়ায়: সর্বশেষ তালিকার আটজনের মধ্যে কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ইকবাল, পিএসসি, পদাতিক-এর জামাতা এ কে এম তুরকিউর রহমান (পাসপোর্ট নম্বর-এএ ৪৩৬৯৭৮৩), তাঁর স্ত্রী মিসেস রিদিতা রাহিলা ইকবাল (পাসপোর্ট নম্বর-এবি ৬৫৫৫৮০০) ও তাঁদের এক মাসের শিশুকন্যা রুমাইসা বিনতে তাকি (পাসপোর্ট নম্বর-বিসি-০৭১৯১৮২)-সহ সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। জানা যায়, তুরকিউর রহমান অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করার সময়ই মৌলবাদে দীক্ষা নেন এবং বাংলাদেশে এসে বিয়ে করে সপরিবারে সিরিয়ায় চলে যান। তাঁর স্ত্রী এবং কন্যার ওমরাহ পালন করে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল তুরস্কে যাওয়ার তথ্য রয়েছে।

মুক্তা ও টুম্পা কাহিনী: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সায়মা আক্তার মুক্তা তাঁর দুই সন্তান মো. আমান শেখ (ছয় বছর), মো. রোমানসহ (চার বছর)  ২০১৪ সালের  ১৫ আগস্ট ঢাকা থেকে গর্ভবতী অবস্থায় সিরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। সিরিয়াতে যাওয়ার কিছুদিন পর চতুর্থ সন্তান ওসমানের জন্ম দেন। বর্তমানে তারা সিরিয়াতে নিহত স্বামী মো. সিফুল হক সুজনের বাসায় অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।

বাংলাদেশে সায়মা আক্তার মুক্তার সর্বশেষ  ঠিকানা ছিল  ইকবালনগর রোড, খুলনা (ইকবালনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে)। তার স্থায়ী ঠিকানা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার পাকুড়তিয়া গ্রামে। মুক্তার পাসপোর্ট নম্বর ‘এক্স-০১৪৮২০০’।

আমাদের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সায়মা আক্তার মুক্তা ও রাবেয়া আক্তার টুম্পা (পাসপোর্ট নম্বর এডি-২৯২২৮৪৬) আপন দুই বোন। তাঁদের বিয়েও হয়েছে আপন দুই ভাইয়ের সঙ্গে। তাঁরা টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের পাকুরতিয়া গ্রামের সোলায়মান শেখের মেয়ে ও একই গ্রামের আবুল হাসনাতের পুত্রবধূ। এই দুই নারী সম্পর্কে এলাকার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে  মোবাইল ফোনে কথা হলে তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,  সাত-আট বছর আগে একই দিনে একই সময়ে আবুল হাসনাতের বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম সুজন ওরফে সাইফুলের সঙ্গে বিয়ে হয় সোলায়মান শেখের বড় মেয়ে সায়মা আক্তার মুক্তার। আর ছোট ছেলে শরিফুল ইসলাম ইমনের সঙ্গে বিয়ে হয় টুম্পার। বিয়ের পর তাঁরা আর গ্রামে আসেননি। এলাকার লোকজন তাঁদের আর খোঁজখবর জানে না। এ পরিবারের সদস্যরা কেউ খুলনা আবার কেউ ঢাকায় স্থায়ী বসত গেড়েছেন। ধনাঢ্য পরিবার হিসেবেই এলাকাবাসী তাঁদের জানে। এলাকাবাসী শুনেছে, এ পরিবারের কেউ  অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন, কেউ আবার ঢাকায় বড় চাকরি করেন। ঢাকায় সফটওয়্যার ব্যবসা আছে বলেও প্রচার রয়েছে।

এলাকার এক যুবক জানান, ১০-১২ বছর আগে টুম্পা ও মুক্তার শ্বশুর গ্রামের বাড়িতে এসে চিংড়ি হ্যাচারি গড়ে তোলেন। এখন তা বন্ধ রয়েছে। গেল বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় মুক্তার স্বামী সাইফুল হক সুজন নিহত হন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তিনি সেখানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলেও ওই সব সূত্র জানায়।

এলাকাবাসী আরো জানায়, আবুল হোসেন ও তাঁর ছোট ছেলে শরিফুল ইসলাম ইমন ৭৫ লাখ মার্কিন ডলারসহ ডিবি পুলিশের হাতে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন এবং এখন তাঁরা কারাগারে রয়েছেন। এলাকাবাসী পত্রপত্রিকায় ওই দুই পরিবার সম্পর্কে যা শুনছে তা  সত্য বলে মনে করছে।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ দুই পরিবারের ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া থানায় কোনো মামলা বা নিখোঁজ তালিকা নেই। তারা দীর্ঘদিন এলাকাছাড়া। শুনেছি, এরা জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এদের ব্যাপারে আরো খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

বিপজ্জনক তাওসীফ হোসেন :  গোয়েন্দাদের তথ্য মতে, গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে নিহত জঙ্গি নিবরাস ইসলামের সঙ্গে তাওসীফ হোসেনও রয়েছেন। তাওসীফ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার সময় বাইরে একটি সাপোর্টিং দলের নেতৃত্বে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ হন তাওসীফ হোসেন। তাঁর বাবার নাম ডা. মোহাম্মদ আজমল। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তাওসীফ ছোট। এক বোন দেশের বাইরে থাকেন। আরেক বোন বাংলাদেশেই আছেন। তাওসীফ মালয়েশিয়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তিনি গুলশানে জঙ্গি হামলার অন্যতম নায়ক নিবরাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। হঠাত্ করেই তাওসীফ নিখোঁজ হয়ে যান। নিখোঁজের কিছুদিন পর তাঁর বাবা বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। গতকাল বিকেলে ধানমণ্ডির ২৮ নম্বর রোডের (নতুন ১৫) ১৯/২ নম্বর বাড়িতে (র্যাংগস তরুনিমা) গিয়ে তাওসীফের মা-বাবাকে পাওয়া যায়নি। ওই বাড়ির কেয়ারটেকার নান্নু মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ছয় তলা ভবনের চতুর্থ তলায় থাকে তাওসীফের পরিবার। আজ (গতকাল) সকালে তাঁর মা-বাবা কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। তাঁরা কখন আসবেন তা বলতে পারব না।’ তিনি বলেন, ‘সারা বছর তাওসীফ বিদেশেই কাটিয়েছেন। নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর মা-বাবা আমাদের বলেছিলেন তাওসীফকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তোমরা তাওসীফের সন্ধান পেলে বাসায় জানাবা। গুলশানে জঙ্গি হামলার কিছুদিন পর পুলিশ-র্যাব আসায় বুঝতে পারি তিনি নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁকে জঙ্গি সন্দেহ করা হচ্ছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর মা-বাবা ভেঙে পড়েছেন।’

এ প্রসঙ্গে ধানমণ্ডি থানার ওসি মোহাম্মদ নুরে আজম মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তাওসীফ নিবরাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নিবরাস যেদিন নিখোঁজ হয়েছিল সেদিনই তাওসীফ নিখোঁজ হয়। গুলশান হামলার ঘটনায় সে জড়িত থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’

এদিকে সূত্র জানায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ছিল দেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি তত্পরতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিন ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্কে হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য রেকি করার সময় পুলিশের হাতে কয়েক জঙ্গি ধরা পড়ে। ওই সব জঙ্গি নিবরাস ইসলাম, তাওসীফ হোসেনসহ সহযোগীদের নাম বলে। ধরা পড়া ওই সব জঙ্গির মধ্যে শাম্মুর এখন জামিনে মুক্ত। কল্যাণপুরে জাহাজ বাড়িতে নিহত সেজাদ তার মামাতো ভাই।

তালিকার আটজন : সর্বশেষ তালিকার আটজনের মধ্যে সাবেক নির্বাচন কমিশনার সফিউর রহমানের ছেলে তাহমিদ রহমান সাফি ওরফে আবু ইছা আল বাঙ্গালীর নাম আগেই প্রকাশিত হয়েছে। এ তালিকায় সায়মা আক্তার মুক্তা ও রাবেয়া আক্তার টুম্পা এবং তুরকিউর রহমান ছাড়াও যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হলেন—১. মো. রিদওয়ান ইসলাম তুহিন, পিতা-মৃত তৌহিদুল ইসলাম, মা-কুলসুম আক্তার (কুসুম), গ্রাম-কেওয়া বাজার (পশ্চিম খণ্ড), থানা-শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুর। তুহিনের পাসপোর্ট নম্বর এএফ-৬১৯৮৪২৫। ২. আব্দুর রহমান মাসুদ, পিতা-মো. আব্দুল মালেক, বাড়ি নম্বর-৩, রোড নম্বর-২, আশুলিয়া, টুঙ্গাবাড়ী, ঢাকা। মাসুদের পাসপোর্ট নম্বর-এএ-৯৩৯৯৮০৬। ৩. ডা. মো. আরাফাত-আল-আজাদ ওরফে আবু খালিদ আল বাঙ্গালী ওরফে ডা. তুষার, পিতা-মরহুম ওয়াসিকুর আজাদ, বারিধারা, ডিওএইচএস, ঢাকা। ৪. তাহমিদ রহমান সাফি ওরফে আবু ইছা আল বাঙ্গালী, পিতা-মৃত সফিউর রহমান (সাবেক নির্বাচন কমিশনার) মা-মিসেস নাসিতা রহমান। বাসার ঠিকানা-হাউস নম্বর-১, রোড নম্বর-৮/এ, নিকুঞ্জ-১ আর/এ, ঢাকা। ৫. সাইমুন হাছিব মোনাজ, পিতা-মোহাম্মদ মুসা (অবসরপ্রাপ্ত সচিব), মা-হোসনে আরা জয়েস (গৃহিণী), স্ত্রী-মিশু, বাসা-২২, রোড-২৩, ফ্ল্যাট নম্বর-এ/৩, বনানী, ঢাকা।

– See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2016/08/05/389642#sthash.hvFNaVzf.dpuf

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment