সরকারি ফেয়ার প্রাইজ চাল কালোবাজারি বিক্রির অভিযোগ

সরকারি ফেয়ার প্রাইজ চাল কালোবাজারি বিক্রির অভিযোগ
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারী ফেয়ার প্রাইজের চাল কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ সহযোগী  ডিলারের বিরুদ্ধে। জানা যায়, বুধবার (১৫ মার্চ) বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর  উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের কালীবাড়ি মহেষপুর এলাকার ফেয়ার প্রাইজের চাল বিতরণকারী (সহযোগী ডিলার) আনোয়ার হোসেন দুইটি ভেনগাড়ি যোগে চালগুলো কালমেঘে কালোবাজারি করার সময় গুঞ্জুরা বাজারে আটক করেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এরশাদুল ইসলাম সহ স্থানীয় লোকজন। এই বিষয়ে এরশাদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সুবিধাভোগীরা ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলো, আমরা মনে করেছিলাম যে চাল গুলো ব্লাকে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু পরে যখন সুবিধাভোগীরা আমাকে আসে বললো যে তারা সবাই একসাথে ভ্যান গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে তখন ছেড়ে দিয়েছি। সহযোগী ডিলার আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটা আমার খরিদ করা চাল ছিল। সহযোগী ডিলার হয়ে ফেয়ার প্রাইজ চাল ক্রয়ের নিয়মনীতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো কয়টা বস্তা নিছি শুধু, বাকি গুলো বিক্রি করে দিছে, আপনি চাইলে সুবিধাভোগীদের কাছে জানতে পারেন বলে ফোন লাইন বি​চ্ছিন্ন করেন। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, আমরা শুনেছি কালকের বিষয়টি টাকার রফাদফা মাধ্যমে মিমাংসা হয়েছে। টাকা গুলো কে বা কাহারা নিয়েছে সেটা আমরা বলতে পারবো না। বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। তারা আরো বলেন, আমরা শুনতেছি সহযোগী ডিলার আনোয়ার হোসেন বলতেছেন ১২ শত টাকার লাভের আশায় ১০ হাজার টাকা  চলে গেলো।
এই বিষয়ে আখানগর ইউনিয়ন চাল ডিলার স্বপন চৌধুরীর  মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রোমান বাদশা বলেন, আমাকে ফেয়ার প্রাইজ চালের বিষয়টি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এশাদুল ইসলাম জানিয়ে ছিলো। আটককৃত ফেয়ার প্রাইজ চাল মোট ২৪ বস্তা। ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষক লীগের সমাবেশ উপস্থিত থাকায় আমি ঘটনাস্থানে আসতে পারি নি। এবিষয়ে উপজেলা খাদ‌্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার আবুল বাসার জানান, আমরা সাব-ডিলার কে তাকে জানিনা বা চিনিনা। যদি রাতের আধারে অথবা সরাসরি ডিলার তার ঘর থেকে চালগুলো বাইর করে দেয় এমন প্রমাণ থাকে তবেই আমরা আইনগত ব‌্যবস্তা গ্রহণ করতে পারবো। এসব বিষয় পুলিশ প্রশাসন দেখবে, আপনারা ডিলারের সাথে কথা বলেন। তিনি পরে আবারো কল করে সাংবাদিককে জানান, ঐ এলাকায় সপন চৌধুরী  অথবা আনোয়ার হোসেন নামে কোন ডিলার নেই, অন‌্য নামে দুইজন ডিলার আছে। যাই হোউক আপনারা তথ‌্য হয়তো সঠিক পান নাই দেখেন আগে।

আপনি আরও পড়তে পারেন