সর্বকালের সেরা টি২০ একাদশে বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার

সর্বকালের সেরা টি২০ একাদশ নির্বাচন করেছে ভারতের একটি জনপ্রিয় পত্রিকা। এতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের ২ জন তারকা ক্রিকেটার। এবার দেখে নেয়া যাক কাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে দলটি: ক্রিস গেইল তর্কাতিতভাবে টি২০ ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। এই ফর্ম্যাটে তার সর্বোচ্চ রান ১৭৫। ১৮টি সেঞ্চুরি এবং ৫৯টি হাফ সেঞ্চুরির মালিক গেইলের স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৫১। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম বিশ্বের অন্যতম বিধ্বংসী ওপেনারকে আমরা রাখলাম ওপেনিংয়ের দায়িত্বে। আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৭৩ বলে ১৫৮ রান করেছিলেন তিনি। এই ফর্ম্যাটে কিউয়ি ওপেনারের ৭টি সেঞ্চুরি এবং ৩৩টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। স্ট্রাইক রেট ১৩৭। বিরাট কোহালি এবির মতোই এই মুহূর্তে বিরাটকে বাদ দিয়ে টি২০ দল ভাবা সম্ভব নয়। মোট প্রায় ২০০টি ম্যাচ খেলে ফেলা কোহালির টি২০তে ৪টি সেঞ্চুরি রয়েছে। গড় প্রায় ৫০। এ বি ডেভিলিয়ার্স এই মুহূর্তে বিশ্বের যে কোনও সেরা দলে অনায়াসে জায়গা পাবেন এ বি। যে কোনও অবস্থায় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। মোট ২১৬টি ম্যাচে ১৪৫ স্ট্রাইক রেটে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার রান করেছেন তিনি। সাকিব অল হাসান বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই অলরাউন্ডার থাকলেন পাঁচ নম্বরে। বাঁহাতি স্পিনার অলরাউন্ডার বল এবং ব্যাট দু’ক্ষেত্রেই দলকে সাহায্য করতে পারবে। মোট ২০৮টি ম্যাচে ২৪০টি উইকেটের পাশাপাশি ১২৩ স্ট্রাইক রেটে প্রায় সাড়ে তিন হাজার রানও করেছেন তিনি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ব্যাটসম্যান এবং ফিনিশার ধোনির রেকর্ড অসামান্য। তা ছাড়া অধিনায়ক হিসাবেও তার রেকর্ড অসামান্য। আইপিএলে ১৪৩টি ম্যাচে প্রায় সাড়ে তিন হাজার রান করেছেন তিনি। প্রায় হেরে যাওয়া বহু ম্যাচ একার হাতে জিতিয়ে দিয়েছেন ফিনিশার ধোনি। ডোয়েন ব্রাভো ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই পেসার অল রাউন্ডার থাকলেন সাত নম্বরে। আইপিএল, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বিগ ব্যাশ খেলা এই ক্যারিবীয় অল রাউন্ডার ৩২৪ ম্যাচে ৩৪১ উইকেট নিয়েছেন। ১২৫ স্ট্রাইক রেটে পাঁচ হাজারের বেশি রানও করেছেন তিনি। ডেল স্টেইন দক্ষিণ আফ্রিকার এই বোলার শুধু সেরা টি২০ একাদশ নয়, সম্ভবত টেস্ট এবং ওয়ান ডে দলেও অনায়াসে সুযোগ পাবেন। আইপিএলে ডেকান চার্জার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, গুজরাত লায়ন্সের হয়ে খেলা স্টেইন মোট ১৭৯টি টি২০তে ২০১ উইকেট নিয়েছেন। বোলিং গড় ৬.৬৭। সুনীল নারিন পরিসংখ্যানের দিক থেকে ক্যারিবিয়ান এই অফ স্পিনার অবশ্যই টি২০ ক্রিকেটের সেরা বোলার। তিনিই একমাত্র বোলার যার ওভার প্রতি গড় রান ছয়ের নীচে। মোট ১৯১টি টি২০তে ওভার প্রতি ৫.৬২ রান দিয়ে ২৪১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আমাদের দলের স্পিন বিভাগের দায়িত্বে থাকলেন নারিন। মুস্তাফিজুর রহমান দলে তৃতীয় পেসার হিসাবে আমরা রাখলাম দ্য ফিজকে। বাংলাদেশী বাঁহাতি সবেমাত্র কেরিয়ার শুরু করলেও ইতিমধ্যেই তার ক্লাস দেখিয়েছেন। আইপিএলে তার বোলিংয়ে ভর করেই লিগ জিতেছে সানরাইজার্স। লাসিথ মালিঙ্গা তার অদ্ভুত অ্যাকশন তাকে সবসময়েই অন্য বোলারদের থেকে আলাদা করে রেখেছে। টি২০তে যেখানে ওভার প্রতি ৮ রানের নীচে রাখাটাকেই ভাল বোলিং বলা হয়, সেখানে এই শ্রীলঙ্কান পেসারের বোলিং গড় ৬.৬৯। ২২১টি আন্তর্জাতিক টি২০ খেলে ২৯৯টি উইকেটে নেওয়া মালিঙ্গা তাই আমাদের দলের পেস আক্রমণ সামলানোর দায়িত্বে। সুরেশ রায়না দ্বাদশ ব্যক্তি হিসাবে দলে থাকলেন সবচেয়ে বেশি আইপিএল ম্যাচ খেলা সুরেশ রায়না। মারকুটে এই মিডল অর্ডার বাঁহাতির ২৪২টি ম্যাচে ১৩৯ স্ট্রাইক রেটে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার রান রয়েছে। তিনটি সেঞ্চুরি এবং ৩৬টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। - See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/143946#sthash.5f6jm15i.dpuf

সর্বকালের সেরা টি২০ একাদশ নির্বাচন করেছে ভারতের একটি জনপ্রিয় পত্রিকা। এতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের ২ জন তারকা ক্রিকেটার। এবার দেখে নেয়া যাক কাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে দলটি:

ক্রিস গেইল
তর্কাতিতভাবে টি২০ ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। এই ফর্ম্যাটে তার সর্বোচ্চ রান ১৭৫। ১৮টি সেঞ্চুরি এবং ৫৯টি হাফ সেঞ্চুরির মালিক গেইলের স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৫১।

ব্রেন্ডন ম্যাকালাম
বিশ্বের অন্যতম বিধ্বংসী ওপেনারকে আমরা রাখলাম ওপেনিংয়ের দায়িত্বে। আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৭৩ বলে ১৫৮ রান করেছিলেন তিনি। এই ফর্ম্যাটে কিউয়ি ওপেনারের ৭টি সেঞ্চুরি এবং ৩৩টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। স্ট্রাইক রেট ১৩৭।

বিরাট কোহালি
এবির মতোই এই মুহূর্তে বিরাটকে বাদ দিয়ে টি২০ দল ভাবা সম্ভব নয়। মোট প্রায় ২০০টি ম্যাচ খেলে ফেলা কোহালির টি২০তে ৪টি সেঞ্চুরি রয়েছে। গড় প্রায় ৫০।

এ বি ডেভিলিয়ার্স
এই মুহূর্তে বিশ্বের যে কোনও সেরা দলে অনায়াসে জায়গা পাবেন এ বি। যে কোনও অবস্থায় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। মোট ২১৬টি ম্যাচে ১৪৫ স্ট্রাইক রেটে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার রান করেছেন তিনি।

সাকিব অল হাসান
বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই অলরাউন্ডার থাকলেন পাঁচ নম্বরে। বাঁহাতি স্পিনার অলরাউন্ডার বল এবং ব্যাট দু’ক্ষেত্রেই দলকে সাহায্য করতে পারবে। মোট ২০৮টি ম্যাচে ২৪০টি উইকেটের পাশাপাশি ১২৩ স্ট্রাইক রেটে প্রায় সাড়ে তিন হাজার রানও করেছেন তিনি।

মহেন্দ্র সিংহ ধোনি
ব্যাটসম্যান এবং ফিনিশার ধোনির রেকর্ড অসামান্য। তা ছাড়া অধিনায়ক হিসাবেও তার রেকর্ড অসামান্য। আইপিএলে ১৪৩টি ম্যাচে প্রায় সাড়ে তিন হাজার রান করেছেন তিনি। প্রায় হেরে যাওয়া বহু ম্যাচ একার হাতে জিতিয়ে দিয়েছেন ফিনিশার ধোনি।

ডোয়েন ব্রাভো
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই পেসার অল রাউন্ডার থাকলেন সাত নম্বরে। আইপিএল, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বিগ ব্যাশ খেলা এই ক্যারিবীয় অল রাউন্ডার ৩২৪ ম্যাচে ৩৪১ উইকেট নিয়েছেন। ১২৫ স্ট্রাইক রেটে পাঁচ হাজারের বেশি রানও করেছেন তিনি।

ডেল স্টেইন
দক্ষিণ আফ্রিকার এই বোলার শুধু সেরা টি২০ একাদশ নয়, সম্ভবত টেস্ট এবং ওয়ান ডে দলেও অনায়াসে সুযোগ পাবেন। আইপিএলে ডেকান চার্জার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, গুজরাত লায়ন্সের হয়ে খেলা স্টেইন মোট ১৭৯টি টি২০তে ২০১ উইকেট নিয়েছেন। বোলিং গড় ৬.৬৭।

সুনীল নারিন
পরিসংখ্যানের দিক থেকে ক্যারিবিয়ান এই অফ স্পিনার অবশ্যই টি২০ ক্রিকেটের সেরা বোলার। তিনিই একমাত্র বোলার যার ওভার প্রতি গড় রান ছয়ের নীচে। মোট ১৯১টি টি২০তে ওভার প্রতি ৫.৬২ রান দিয়ে ২৪১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আমাদের দলের স্পিন বিভাগের দায়িত্বে থাকলেন নারিন।

মুস্তাফিজুর রহমান
দলে তৃতীয় পেসার হিসাবে আমরা রাখলাম দ্য ফিজকে। বাংলাদেশী বাঁহাতি সবেমাত্র কেরিয়ার শুরু করলেও ইতিমধ্যেই তার ক্লাস দেখিয়েছেন। আইপিএলে তার বোলিংয়ে ভর করেই লিগ জিতেছে সানরাইজার্স।

লাসিথ মালিঙ্গা
তার অদ্ভুত অ্যাকশন তাকে সবসময়েই অন্য বোলারদের থেকে আলাদা করে রেখেছে। টি২০তে যেখানে ওভার প্রতি ৮ রানের নীচে রাখাটাকেই ভাল বোলিং বলা হয়, সেখানে এই শ্রীলঙ্কান পেসারের বোলিং গড় ৬.৬৯। ২২১টি আন্তর্জাতিক টি২০ খেলে ২৯৯টি উইকেটে নেওয়া মালিঙ্গা তাই আমাদের দলের পেস আক্রমণ সামলানোর দায়িত্বে।

সুরেশ রায়না
দ্বাদশ ব্যক্তি হিসাবে দলে থাকলেন সবচেয়ে বেশি আইপিএল ম্যাচ খেলা সুরেশ রায়না। মারকুটে এই মিডল অর্ডার বাঁহাতির ২৪২টি ম্যাচে ১৩৯ স্ট্রাইক রেটে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার রান রয়েছে। তিনটি সেঞ্চুরি এবং ৩৬টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment