সাজেক ভ্রমণে সতর্কতা জারি

দেশজুড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বন্যা পরিস্থিতি। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিন পার্বত্য জেলায় নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, কালভার্ট ও ফসলী জমি। পাঁচদিন ধরে বান্দরবানের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে দেড়শো’র বেশি আশ্রয়কেন্দ্র।

বান্দরবান

টানা নয়দিনের প্রবল বর্ষণে বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে জেলা সদরের লামা, আলীকদম, রুমা, থানচিসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় খোলা হয়েছে ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। কেরাণীহাটের বড়দোয়ার এলাকায় রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় এখনো বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ।
খাগড়াছড়ি

গত এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির মাইনী নদীর পানি বেড়ে, ২৫ টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৫ হাজার মানুষ। মেরুং এলাকায় সড়কে পানি ওঠায় দীঘিনালার সঙ্গে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পাহাড় ধসে মধুপুর বাজার, জিরোমাইল ও পানছড়িসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সড়ক, কালভার্ট ও কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে সাজেকসহ পর্যটন এলাকাগুলোতে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

রাঙামাটি

পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে বৃষ্টির পানিতে রাঙামাটির দুর্গম উপজেলা বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর দিন যাপন করছেন মধ্যমপাড়া, মুসলিমব্লক, পুরান মারিশ্যা ও বটতলী এলাকার কয়েকশ’ মানুষ। দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট।

জীবনের ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ের বাসিন্দাদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন, তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসন।

আপনি আরও পড়তে পারেন