সিলেট শহরে বেলুন বিক্রির অন্তরালে মাদক ব্যবসা

সিলেট শহরে বেলুন বিক্রির অন্তরালে মাদক ব্যবসা
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)+ স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিলেট মহানগরীর গুরুত্ব পূর্ণ এলাকা গুলোতে শিশুদের দিয়ে বেলুন বিক্রির অন্তরালে চলছে  মাদক ব্যবসা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফায়দা লুটছে অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীরা। অর্থ আর নেশার ঘুরে বিপথগামী উঠতি বয়সী শিশু – কিশোর ও যুব সমাজ।
৩০ শে জানুয়ারী রোজ সোমবার সিলেট শহর ঘুরে দেখা ও জানাযায়, সিলেট শহরের গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক এলাকা জিন্দাবাজার,  জল্লাড়পাড় নয়াসড়ক এলাকাকে কেন্দ্র করে হত-দরিদ্র পরিবারের  শতাধিক শিশু-কিশোরদের নিয়ে বেলুন বিক্রির নামে গড়ে তুলেছে মাদক বিক্রি চক্র। এই এলাকায় শিশু -কিশোররা বেলুন বিক্রির অন্তরালে মাদক বিক্রি ও ভিক্ষা বৃত্তি করছে বলে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাদক ব্যবসায়ীরা অভাবী সংসারের  ১০/১২ ও ২০/২৫ বছর বয়সী শিশুদের মা- বাবাকে ম্যানেজ করে এই শিশুদের দিয়ে বেলুন বিক্রির অন্তরালে মাদক বিক্রি করাচ্ছেন। এতে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত বড় অংকের অর্থ উপার্জন করছেন। আর এই শিশুদের মা- বাবা ঘরে বসে প্রতিদিন পাচ্ছেন পাঁচশো থেকে  হাজার টাকা।
বেলুন বিক্রি করে এমন কিছু শিশু- কিশোরদের সাথে আলাপকালে জানাযায়, চুমকি,ফারহানা, রাসেল, শেলী ও রুমন নামক চার শিশু -কিশোর নিয়ন্ত্রণ করে পুরো এলাকা। যারা নিজেরাও নিয়মিত ডেন্ডি সেবন করার পাশা-পাশি নগরীর কাষ্টঘর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গাঁজা – ইয়াবা সহ রকমারি মাদক সংগ্রহ করে এই চক্রের অর্থাৎ বেলুন ব্যবসায়ী শিশু -কিশোরদের দিয়ে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলে, জানি ভিক্ষা বৃত্তি ও মাদক ব্যবসা খারাপ কাজ। কি করব কারো দোকানে কিংবা বাসায় কাজ করলে দৈনিক ২০/২৫ টাকা ধরিয়ে দেয় তাতে অভাবের সংসার চলেনা। তাই মা-বাবা যেটাই কয়, সেটাই করতে হয়। নাইলে মারপিট করে। পুলিশের ভয় আছে কি করব।
এ ব্যাপারে সবজি, সুজ ও ভূসিমাল ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক  মহাজন তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন , বেলুন বিক্রিকারী কিশোর কিশোরীরা প্রায়ই টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কিংবা মাদক নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি করে থাকে প্রকাশ্যে ডেন্ডি সেবন করে। সিলেট শহরে ওদের অপকর্ম দেখার কেউ নেই বললেই চলে। যার ফলে উঠতি বয়সী যুব সমাজ বিপথগামী হচ্ছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী  বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন