সীমানা পাল্টাচ্ছে ২৫ আসনের, একটিও নেই ঢাকার

সীমানা পাল্টাচ্ছে ২৫ আসনের, একটিও নেই ঢাকার

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৩০০টির মধ্যে ২৫টি আসনের সীমানা পাল্টানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে এর মধ্যে ঢাকার একটি আসনও নেই।

ভোটের আগে প্রথমে ৬০ থেকে ৭০টি আসনের সীমানা পাল্টনোর ঘোষণা এসেছিল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। আর গত ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশন ৩৮টি আসনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে ঢাকায় ছিল পাঁচটি আসন।

খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তি করে ৩০ এপ্রিল চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের কথা জানায় কমিশন।

আর দাবি-আপত্তি নিশ্চিত করে নির্ধারিত দিন সোমবার মোট ২৫টি আসনে সীমানা পাল্টানোর কথা জানান নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। আর এসব আসনের মধ্যে রাজধানীর কোনো আসন নেই সেটা নিশ্চিত করেন তিনি।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর আগে ১৯৮৪ সালে প্রথম এবং ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদীয় সীমানা পরিবর্তন করা হয়।

তবে সীমানা সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন হয় ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার আনুপাতিক হার মেনে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে জিআইএস পদ্ধতি অনুসরণ করে শতাধিক সংসদীয় আসনে পরিবর্তন আনা হয়।

আর দশম সংসদ নির্বাচনে আগের কমিশনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ৫০টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন আনে রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন।

বর্তমান কমিশন গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর ভোট নিয়ে যেসব প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে আছে সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি।

গত ১৫ জানুয়ারি সাতক্ষীরা সফরে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ৬০ থেকে ৭০টি আসনের সীমানা পরিবর্তন হবে বলে জানান।

যেসব আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী: নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর- ১, ও ৩, কুড়িগ্রাম- ৩ ও ৪, সিরাজগঞ্জ ১ ও ২, খুলনা ৩ ও ৪, জামালপুর ৪ ও ৫, নারায়ণগঞ্জ ৪ ও ৫, সিলেট ২ ও ৩, মৌলভীবাজার  ২ ও ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ ও ৬, কুমিল্লা ৬, ৯ ও ১০ এবং নোয়াখালী ৪ ও ৫ আসনে নতুন এলাকা সংযোজন বা বিয়োজন হচ্ছে।

এর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তাবিত সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত দাবি-আপত্তিব বিষয়ে শুনানি শেষ করেছিল নির্বাচন কমিশন। গত ২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি চলে।

সোমবার সেই দাবি-আপত্তি বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত গেজেট প্রকাশ হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার্ আগের ৯০ দিনরে মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।

দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ২৯ জানুয়ারি। অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে।

গত ১২ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের কথা জানিয়েছিলেন। তবে পরে সিইসি জানান ভোট হতে পারে জানুয়ারিতেও।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment