সুনামগঞ্জে জামায়াতের আমীর সহ ২ জন আটক, দেশীয় অস্ত্র ও জিহাদি বই উদ্ধার

সুনামগঞ্জের পল্লীতে নাশকতার লক্ষে গোপন বৈঠক চলাকালে উপজেলা জামায়াতের আমীর হাবিবুর (৫৫) ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর সভাপতি তরিকুল (৫০)কে আটক করার পাশা-পাশি দেশীয় অস্ত্র, জিহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এব্যাপারে ১২ জনের নাম উল্লেখ সহ জামালগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানাযায়,আজ ১ লা আগষ্ট রোজ সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত কামলাবাজ গ্রাম নিবাসী মৃত মোঃ আকবর উল্লাহর ছেলে উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ হাবিবুর রহমান নিজ বাড়ীতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে  গোপন বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়ে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুন নাসের এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপজেলা জামায়াত এর আমীর মোঃ হাবিবুর রহমান ও উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত সাচনা বাজার গ্রাম নিবাসী মৃত শেখ মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান এর ছেলে জামালগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ  ফেডারেশনের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলামকে আটক করেন। পুলিশ এর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। এসময় বৈঠকস্থল থেকে দেশীয় দাড়ালো অস্ত্র রামদ ,  সুলফি, লাঠি,  জিহাদি বই ও লিফলেট  উদ্ধার করা করেছেন।
এ ঘটনায় জামালগঞ্জ থানার এস আই মোঃ জুলহাস নিজে বাদি হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী ২০১২(সংশোধন ১৩) এর ৬(২)(ই(ঈ)/১২ এর ধারায় উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. হাবিবুর রহমান(৬০)কে প্রধান আসামী করে জামালগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অন্যান্যা আসামীরা হলেন,আটককৃত উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম(৫০),পলাতক শাহপুর গ্রামের মৃত মো. আব্দুল বারীর ছেলে জামায়াত নেতা ফখরুল আলম চৌধুরী(৫০),মানিগাঁও গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রুমেল(৩৪),ফেনারবাঁক গ্রামের মৃত আব্দুল মোমেনের ছেলে খাইরুল ইসলাম(৫০),তেলিয়া গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলেমো. আব্দুল মুহিত(৪৫),তেলিয়া নতুনপাড়া গ্রামের আব্দুল কদ্দুছের ছেলে মো. শফিক মিয়া(৩৫),শাহপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম(৫৫),রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে শেরু আলম(৫০),তেলিয়া গ্রামের মৃত রজিম উল্ল্যাহ”র ছেলে লিয়াকত আলী(৫৫),শুকদেবপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুল আওয়াল(৭০),নোয়াগাঁও গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম(৩০)। এছাড়াও মামলায় আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের বলেন, মামলার আসীমগন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটাইয়া জননিরাপত্তা বিঘ্নিত  করা,জনসাধারনের জানমালের ক্ষতিসাধন,রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডসহ সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরো অস্থিতিশীল করে তোলার লক্ষে ষড়যন্ত্রসহ প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধরন করার উদ্দেশ্যে পোগন ষড়যন্ত্র,ধর্মীয় জিহাদ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অপরাধ অর্থাৎ নাশকতার পরিকল্পনা করতে গোপন বৈঠক করছিল। এরই পরিপেক্ষিতে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এবং থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন