সুন্দরগঞ্জে জাল টাকার ছড়াছড়ি

সুন্দরগঞ্জে জাল টাকার ছড়াছড়ি

ইউনুস আলী সরকার, সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হাট-বিজারগুলোতে ব্যাপকহারে চলছে জাল টাকার ছড়াছড়ি। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন।
জানা যায়, গত শনিবার (১২ ফেব্রæয়ারী) সন্ধ্যায় উপজেলার শোভাগঞ্জ বাজারে সংবদ্ধ চক্রের এক সদস্য বিভিন্ন দোকানে নামমাত্র খরচের বিনিময়ে জালনোট প্রচলন করতে থাকায় কতিপয় দোকানদারের সহযোগিতায় কিছু সংখ্যক হাটুরে তাকে আটক করেন। বিষয়টি গুরুতর ভেবে ছাপড়হাটী ইউপি’র সাবেক সদস্য মাসুদ রানা থানা পুলিশে খবর দেন। জানতে পেয়ে জরুরী গতিতে থানার এসআই হাসিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল উক্ত শোভাগঞ্জ হাটে চলে যান। পুলিশ পৌঁছার আগেই কতিপয় টাউটবাজের সহযোগীতায় ঐ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা এসে আটক জাল টাকার প্রচলনকারীকে নিয়ে যায়। সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ রানা জানান, বিষয়টা মেনে নেয়ার মতো নয়। যারা সহযোগীতা করে জাল টাকার প্রচলনকারীকে যেতে দিয়েছে। তারা স্থানীয় টাউটবাজ ও ঐ চক্রটির সদস্য হতে পারে। জাল টাকার প্রচলকারী ঐ ব্যক্তিকে ভুট্টু মিয়ার বাজারের মুদির দোকান কাম-বসতবাড়িতে আটক রাখা হয়েছিল। সে সময় মসলার দোকানদার আঞ্জু মিয়া, নাস্তার দোকানদার জুয়েল মিয়া, তরকারী, ঔষধ, মুদির দোকানদার তথা ঐ বাড়ির মালিক ভুট্টু মিয়াসহ অন্যান্যরা তাকে (মাসুদ রানাকে) থানায় খবর দিতে বলেছিল। কিন্তু, আটককৃত জাল টাকার নোট প্রচলনকারী ব্যক্তি চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতারিত দোকানদাররাও আত্মগোপন করেছে। তারা তাদের ব্যবহৃত মোবাইলফোন বন্ধ রেখেছে। এখন জাল নোটগুলোও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, পালিয়ে যাবার আগে আটকের পর জাল টাকার প্রচলনকারী বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার বাসীন্দা বলে পরিচয় দিয়েছে। এসআই হাসিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে দ্রæতগতিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ব্যক্তি, আলামতসহ প্রতারিত দোকানদারদেরকে পাওয়া যায়নি।
থানা অফিসার ইনচার্জ তৌহিদুজ্জামান বলেন, এ অপরাধ সংশ্লিষ্টদেরকে খোঁজা হচ্ছে। পাশাপাশি আটক জাল টাকার প্রচলনকারী ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে সহযোগীদেরকেও খোঁজা হচ্ছে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন