সুন্দরগঞ্জে শিক্ষা কর্তাকে বই চুরি মামলায় অন্তর্ভুক্তির দাবী

সুন্দরগঞ্জে শিক্ষা কর্তাকে বই চুরি মামলায় অন্তর্ভুক্তির দাবী

ইউনুস আলী সরকার, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসনে মন্ডলকে চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই চুরি মামলায় আসামীতে অন্তর্ভুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
রবিবার দুপুরে নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবে একটি ঝাড়– মিছিল পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শেষে উপজেলা পরিষদ (পুরাতন) চত্বরের বটতলায় সমাবেশ করে। এছাড়া, উক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেনের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন পদদলিত করে আগুনে ভষ্মিভ‚ত করে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উক্ত নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক প্রভাষক মাসুদুর রহমান প্রামানিক, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, গোলাম কবির মুকুল, আহসানুল করিম চাঁদ, জাহাঙ্গীর আলম, মুসলিম আলী মাস্টার, আবু বক্কর সিদ্দিক, এটিএম মাসুদ-উল ইসলাম চঞ্চল, বিউটি বেগম, সাবানা বেগম বিনাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসব কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে মামলার আসামীতে অন্তভর্‚ক্তির দাবী জানিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেনে মন্ডলসহ পাঠপুস্তক চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন। তিনি প্রায় ১০ বছর থেকে এ উপজেলায় চাকরি করছেন নির্বিঘেœই। চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য। তারা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ যাদের কাছে গোডাউনের চাবি থাকে তারা কোনভাবেই এ দায় এড়াতে পারেন না। তাই তাকে আইনের আওতায় আনা দরকার। তারা বলেন, গত বছর উপজেলা অডিটরিয়ামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে সুন্দরগঞ্জ আঃ মজিদ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অশ্লিল ভাষায় গালমন্দ করায় তাৎক্ষনিকভাবে শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী ও স্বারকলিপি প্রদান করে মাহমুদ হোসেন মন্ডলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করে। কিন্তু কোন ফল হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি রাতে বই পাঁচারকালে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করে যমুনা সেতু (পশ্চিম) থানা পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পরদিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডল বাদী হয়ে তার অফিসের অফিস সহায়ক মাজেদ, ট্রাক ড্রাইভার শ্যামল ও হেলপার রাসেলকে আসামী করে একটি থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান সরকার জানান, এ মমালায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামীর বিরুদ্ধে দুই দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। এতে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। মামলাটি তদন্তের সার্থে তা বলা যাচ্ছে না। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন