স্কুলছাত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন বিএনপি নেতা

স্কুলছাত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন বিএনপি নেতা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ইনবক্সে বস্তির মেয়ে বলে কটাক্ষ করায় এক স্কুলছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়েছে মোত্তালিব সরকার বকুল নামে এক বিএনপি নেতা।

পরে ওই স্কুলছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এর আগে ওই দিন সন্ধ্যায় পলাশবাড়ী পৌরসভার প্রফেসর পাড়ায় দিপঙ্কর নামে এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী গ্রীনফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী। নির্যাতনকারী মোত্তালিব সরকার বকুল পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই স্কুলছাত্রী মোহনা আক্তার নামে এক কলেজছাত্রীকে ম্যাসেঞ্জারে বস্তির মেয়ে বলে কটাক্ষ করে। এতেই ক্ষিপ্ত হয় ওই কলেজছাত্রী। মঙ্গলবার বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যায় ওই স্কুলছাত্রী। এ সময় মোহনা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে পড়ার রুম থেকে বের হওয়ার জন্য বলে। কথা না শোনায় তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে চড়থাপ্পড় মারে মোহনা। এ সময় প্রাইভেট শিক্ষক ও তার সহপাীঁরা দুজনকে থামিয়ে দেয়।

তবে মোহনা তার বাবা মোত্তালিব সরকার বকুলকে ফোন করে জানায় তাকে মারধর করা হয়েছে। পরে মোহনার বাবা  ও মা ঘটনাস্থলে এসে স্কুলছাত্রীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। মারধরের এক পর্যায়ে মেধা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

গ্রীনফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহাফুজ সিদ্দিক টিপু বলেন, মেধা এখন হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা বকুল বলেন, আমার মেয়ে মোহনা আক্তার মোবাইল ফোনে তাকে মারধর করছে জানালে আমি এবং আমার স্ত্রী ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আমার মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে আমার স্ত্রী ওই মেয়েকে কয়েকটি থাপ্পড় মারে। পরে আমার মেয়েকে নিয়ে আমি ও আমার স্ত্রী বাসায় চলে আসি। এ ঘটনায় আমাকে দায়ী করে থানায় অভিযোগ করাটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।

পলাশবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনার অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন