স্থিতিশীল সবজির বাজার, বেড়েছে ডিমের দাম

শীতের শেষ সময়ে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দুই-একটি সবজি ছাড়া মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজারদর। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ডিমের। মাছ, মাংস, চাল-ডাল তেলসহ অন্যান্য মুদি পণ্যের চড়া বাজারেও নেই কোনো সুখবর।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিনে রাজধানীর নিউমার্কেটের কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়- গোলআলু, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, মটরশুঁটি, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, পাতাকপি, সজনে, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, ধুন্দল, ঢেঁড়শ, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ বিভিন্ন  শাকসবজিতে ভরপুর বাজার। সকাল থেকেই জমে উঠেছে  বেচাকেনা।

এরমধ্যে কাঁচামরিচ ৬০-৬৫ টাকা, গোলআলু ২৩-২৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০-৫৫ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, গাজর ৪৫ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০- ৭৫ টাকা, শালগম ৪০-৪৫ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে বাজারে উঠেছে সজনে ডাঁটা। বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। পাতাকপির দাম স্থিতিশীল থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে ফুলকপি ও ব্রোকলির। পাতাকপি আগের মতোই ৩০-৪০ টাকা পিস বিক্রি হলেও ফুলকপি ও ব্রোকলি ৫০-৬০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও এসব সবজি ৪০-৪৫ টাকায় পাওয়া গেছে। আকারভেদে প্রতি পিস লাউ ৯০-১০০ টাকা পর্যন্ত দাম চাইছেন  বিক্রেতারা। লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাক, পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা আঁটি দরে।

মসলার মধ্যে পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা,  রসুন ১১০-১২০ টাকা, দেশি আদা ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির বাজারদর তেমন একটা না বাড়লেও দ্রুতই বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শীতের শেষ সময়ে শীতের সবজি কমতে শুরু করেছে।

রবিউল ইসলাম নামের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহের বাজারদর ঠিকই আছে। তবে শীতের সবজি কমতে শুরু করায় হয়তো সামনের সপ্তাহে অন্যান্য সবজির ওপর চাপ পড়বে। দামও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে হালিপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ২-৩ টাকা।

নিউমার্কেটের ডিমের আড়তের বিক্রেতা ইযাসিন মিয়া জানান, সব ধরনের ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। লাল ডিম পাইকারি বাজারে ক্রয়মূল্য ৩৬ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা,
সাদা ডিম পাইকারি বাজারে ক্রয়মূল্য ৩৪ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা, হাঁসের ডিম পাইকারি বাজারে ক্রয়মূল্য ৬৫ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিম পাইকারি বাজারে ক্রয়মূল্য ৬৫ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় সম্প্রতি ডিমের দামেও এর প্রভাব পড়ছে।

এছাড়াও মুদি বাজারে মুগ ডাল ১২৫ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা, এংকর ডাল ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ১১৫ টাকা, ছোলাবুট ৭৫ টাকা, চিনিগুড়া চাল ১০০-১২০ টাকা, মিনিকেট চাল ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭০ টাকা, মোটা চাল ৫২ টাকা, মিনিকেট চাল ৬৩ টাকা, চিনি ৭৫ টাকা কেজি ও সয়াবিন তেল ১৬০-১৬৫ টাকা  লিটার বিক্রি হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন