স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে : ডিএনসিসি মেয়র

স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে : ডিএনসিসি মেয়র

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় নয়টি হাটের জন্য তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছেন জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে সেই হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

রোববার (১৮ জুলাই) রাজধানীর ভাটারার সাইদ নগর হাট পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি।

কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি দেখা না গেলে, হাটে আগতদের ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর জন্য আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন, এ বিষয়ে যে কেউ অভিযোগ জানালেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, প্রতিটি হাটে পাঁচ জন করে কাউন্সিলর দায়িত্বে আছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানতে না দেখলে তাদেরকে বলুন। তাদের বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের অ্যাপে জানান। নয়টি হাটের জন্য ডিএনসিসির তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছেন। হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে সেই হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এবার আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে খুব কঠোর।

হাটে আসা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকছে জানিয়ে আতিকুল বলেন, এবারই প্রথম আমরা নয়টি হাটে করোনা টেস্ট করানোর ব্যবস্থা রেখেছি ব্র্যাকের সহযোগীতায়। এছাড়াও প্রতিটি হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য শক্তি ফাউন্ডেশন এবং হাট ইজারাদারদের পক্ষ থেকে হাটে ২০০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকছে। ‘মাস্ক আমার সুরক্ষা সবার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সবাইকে মাস্ক পরতে সচেতন করা হচ্ছে। ইয়ুথ বাংলাসহ আরও কিছু সংস্থা আমাদের সাহায্য করছে।

আসন্ন ঈদুল আজহায় সবাইকে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করার আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ৫৪টি ওয়ার্ডের প্রতি ওয়ার্ডে ৫টি স্থান অর্থাৎ ২৭০টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সবাই যেন সেসব নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করেন সে বিষয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়া কোরবানির পশুর হাটে যারা আসবেন তাদেরকে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরতে হবে।

হাট পরিদর্শনের সময় স্বাস্থ্যবিধি মানতে গরু বিক্রেতা, ক্রেতাদের পরামর্শ দেন মেয়র। হাট পরিচালনাকারীদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই যেন স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন বাধাগ্রস্ত না হয়। যেকোনো মূল্যে স্বাস্থ্যবিধি মানানো নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য যে যার জায়গা থেকে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।

এসময় তিনি হাটের ভেতরে প্রবেশ করে গরু বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক পরিয়ে দেন। পাশাপাশি গরু বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরলে যেমন নিজে নিরপদে থাকা যাবে, একইভাবে অন্যদেরও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্যে করবে। এই হাটে প্রতিটি মানুষকে মাস্ক পরতে হবে।

এর আগে হাটের প্রধান ফটকের সামনে করোনা পরীক্ষার বুথে গরু বিক্রেতার করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজাসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন