হাতছানি দিচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুদের কাপ্তাই হ্রদের বুকে ফুটেছে শাপলা

হাতছানি দিচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুদের কাপ্তাই হ্রদের বুকে ফুটেছে শাপলা

সুপ্রিয় চাকমা শুভ, রাঙ্গামাটি

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার অন্যতম উপজেলা হচ্ছে জুরাছড়ি। এই জুরাছড়ি উপজেলা সদরজুড়ে এখন ভ্রমণ পিপাসুদের আগমণ যেন হঠাৎ করে। জুরাছড়ির সদরের বিলে বিশাল জলরাশির কাপ্তাই হ্রদের বুকে ফুটেছে সারি সারি অপরূপ শাপলা ফুল।

যা রাঙ্গামাটিতে আগে কখনো দেখা মেলেনি এই ধরনের বিশাল শাপলার সমারোহ। এই প্রথম জুরাছড়ি উপজেলা সদরের বিলে ফুটেছে শতশত শাপলা ফুল। এ যেন নতুন কিছু সৃষ্টি।  হ্রদের বুকে ফোটা শাপলা ফুলের সৌন্দর্য্য  হাতছানি দিচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুদের ।

প্রতিদিন রাঙ্গামাটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ফুতন্ত শাপলা ফুলের দৃশ্য উপভোগ করতে আসছে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক। প্রতিদিন যত পর্যটক আসবে  জুরাছড়ি তত উন্নয়ন হবে।

তবে পর্যটকরা যাহাতে আরো ভালভাবে এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারে সেজন্য পর্যটন খাতের মাধ্যমে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা।

অন্যান্য দুর্গম উপজেলার মধ্য জুরাছড়ি হচ্ছে অন্যতম। উপজেলার চারদিকের পরিবেশ মনোমুগ্ধকর। রাঙ্গামাটি শহর থেকে জুরাছড়ির দুরত্ব ৫৭ কিলোমিটার।

যা শহর থেকে নৌপথে লঞ্চ দিয়ে যেতে সময় লাগে আড়াই ঘন্টা। তবে রাঙ্গামাটি শহর থেকে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো নৌপথ। হঠাৎ করে জুরাছড়ি সদরের বিলে ফুটেছে শত শত শাপলা ফুল।

শাপলা ফুলের এই অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে জুরাছড়িতে এখন পর্যটকের পদচারণে মূখর হয়ে উঠেছে। নৌকা করে প্রতিদিন ঘুরতে আসছে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক। পর্যটকের ভিড়ে জুরাছড়ি এখন প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে।

সারি সারি শাপলা ফুলের সাথে সেলফি,ভিডিওতে ব্যস্ত পর্যটকরা। শাপলা ফুলের কারণে রাঙ্গামাটির সিম্বল অব হবে জুরাছড়ি, মন্তব্য করেছেন জুরাছড়ি সদরের স্থানীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘হিলর প্রোডাকশন’র সহ-সভাপতি পারমিতা চাকমা।  

শাপলার অপরূপ দৃশ্য দেখে মুগ্ধ অদিতি চাকমা। তিনি বলেন, আসলে পুরো রাঙ্গামাটি জেলাতে এই ধরনের একসাথে এতগুলো শাপলা ফুল কখনো দেখা যায়নি। কাপ্তাই হ্রদের জলরাশির সাথে মিতালি হয়েছে শাপলার। এই ধরনের উপভোগ্য দিন কখনো আসবে কিনা তা জানি না। তবে আজকে আমরা বন্ধু-বান্ধবী মিলে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি।

জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, রাঙ্গামাটিতে এই ধরনের শাপলা ফুল কখনো দেখা যায়নি। একসাথে এতগুলো শাপলা ফুল কখনো ফোটেনি। জুরাছড়িতে এই প্রথম এতগুলো শাপলা ফুল ফুটেছে। এই শাপলা ফুল একদিন জুরাছড়ি উপজেলার সুনাম বয়ে আনবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন