হোসেনপুরে জমে উঠেছে ইউপি নির্বাচন

হোসেনপুরে জমে উঠেছে ইউপি নির্বাচন
মাহফুজ রাজা,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ;
আসন্ন চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে নির্ঘুম ব্যস্ততায় অহর্নিশি কেটে যাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী,স্বজন,ও সমর্থকদের আগামী ২৬ ডিসেম্বর রবিবার  অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ৬টি ইউনিয়নের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।প্রতীক পাওয়ার পূর্বে নির্বাচনী আমেজ ঢিলেঢালা থাকলেও, প্রতীক পেয়েই গণসংযোগে মাঠে নেমে পড়েছেন হোসেনপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মহিলা সদস্য এবং মেম্বার প্রার্থীরা।কিছু ওয়ার্ডে চা স্টলে বসে জমিয়ে চলে মনোনীত প্রার্থীদের প্রসংশা।
প্রত্যক্ষদর্শনে, রবিবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে সাথে দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, চা স্টলে চলছে নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরাও রাত দিন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন।প্রতিটি গ্রামের অলিগলিতে ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেটের ছড়াছড়ি। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা।
কর্মময় জীবনের সিংহভাগ সময় ব্যয় হচ্ছে প্রচারণার কাজে কর্মী-সমর্থকদের।ছন্দের অভিন্ন রুচিতে চলছে মাইকিং প্রচারণা। কোথাও কোথাও মাইকের উচ্চ আওয়াজে কেউ অতিষ্ঠ। আবার কেউ কেউ মনোযোগে শুনেন পুরুষ ও মহিলার রসালো কন্ঠে
নানান রকম গান ও প্রসংশা এবং প্রতিশ্রুতি বানী প্রার্থীদের পক্ষে।
অতীতে নিজের কিংবা স্বজনদের কর্মকাণ্ডের সূদৃঢ়
জবাব দেয়ার চেষ্টা করে যার যার মত করে মানিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের নির্বাচনী পরিস্থিতি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে যেন এক মেইল বন্ধন। নিজের পছন্দের প্রতীক মন মতো বেঁছে নিয়ে প্রার্থীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি। জয়ের জন্য দোয়া চাইছেন প্রার্থীরা। চলছে নানা
হিসাব-নিকাশ।
 উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এদিকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
 চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬টি ইউনিয়নের প্রতীক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীগন হলেন, ১ নং জিনারী ইউনিয়নে আব্দুস সালাম (নৌকা), শাহজাহান সরকার (আনারস), ইমতিয়াজ ফরহাদ (মোটর সাইকেল), আজহারুল (চশমা), আজহারুল রহিদ (ঘোড়া), সালাউদ্দিন হীরা (অটোরিকশা)
২ নং সিদলা ইউনিয়নে কামরুজ্জামান কাঞ্চন (নৌকা), কফিল উদ্দিন (আনারস), আহাদুল (ঘোড়া)। ৩ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নে এডভোকেট সাইদুর রহমান (নৌকা), শফিকুল ইসলাম হিমেল (আনারস) রতন (হাতপাখা)। ৪ নং আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নে মোছলেহ উদ্দিন মুসলিম (নৌকা), খুশীর উদ্দিন (আনারস),  ৫ নং শাহেদল ইউনিয়নে শাহ মাহবুবুল হক (নৌকা), মো. ফিরোজ মিয়া (আনারস)। ৬নং পুমদি ইউনিয়নে আব্দুল কাইয়ুম (নৌকা), মাহবুবুল হাসান মাহবুব (চশমা), নাজিবুল হায়দার রিপন (আনারস) কাঞ্চন মিয়া (মোটরসাইকেল)
এছাড়া ৫৪ টি ওয়ার্ডে সাধারণ ২০৬ সংরক্ষিত ৬৯ জন সদস্যের মাঝেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। দিন-রাত ছুটে চলেছেন নিজ নিজ ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে। ভোটারদের খোঁজ খবর নেওয়াসহ করছেন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়। সেই সাথে নিজেদের প্রার্থীতার কথা জানান দিয়ে দিচ্ছেন এলাকার মানুষের কাছে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটারগনের কথায় ফুটে উঠে তারা এবার যুগ্যপ্রার্থী দেখেই ভোট প্রয়োগ করবেন।
বিভিন্ন প্রার্থীদের সাথে কথা হলে প্রত্যেকের উত্তর প্রায় একই রকম পাওয়া যায়,নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হিসেব মিলিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন