আইএসে যাওয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ছাত্রী নিহত!

http://agamirsomoy.com/?p=4397

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে দেড় বছর আগে পরিবারকে না জানিয়ে লন্ডন থেকে সিরিয়ায় যান তিন স্কুলছাত্রী। তাদের মধ্যে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত খাদিজা সুলতানা সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে তাদের পারিবারিক এক আইনজীবী জানিয়েছেন। খবর-বিবিসির

http://agamirsomoy.com/?p=4397

আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জি বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে সিরিয়ার রাকায় রাশিয়ার জঙ্গি বিমান হামলায় খাদিজা নিহত হন বলে তারা জানতে পেরেছেন।

তবে সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির কারণে নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত হতে পারেননি বলেও জানান তিনি।

তাসনিম আকুঞ্জি বলেন, আবেগে ওই তিন তরুণী আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে তারা ভুল বুঝতে পেরে লন্ডনে ফেরত আসতে চেয়ছিল। কিন্তু, আইএসের নৃশংস শাস্তির ভয়ে তারা আসতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, খাদিজা নিহতের খবরে তার পরিবার ভেঙে পড়েছে এবং আমাদের জন্য এটা সত্যিই বড় ক্ষতি।

খাদিজার বোন হালিমা খানম আইটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুক্তরাজ্যের ফিরে আসার পরিকল্পনা করছিলেন তার বোন। রাকা থেকে পালিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে তিনি যোগাযোগও করেছিলেন।

তবে যুক্তরাজ্য সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি বলে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

দুই বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি খাদিজা যখন লন্ডন ছাড়েন, তখন তার বয়স ১৬ বছর।

তার দুই বান্ধবীর মধ্যে শামীমা বেগমও (তখন বয়স ১৫) একজন বাংলাভাষী। আর অন্য বান্ধবী আমিরা আবাসে (তখন বয়স ১৫) ইংরেজির পাশাপাশি আফ্রিকার আমহারিক ভাষায় কথা বলেন।

তারা সবাই পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় বেথনাল গ্রিন একাডেমি নামের এক স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্রী ছিলেন।

গতবছর শুরুর দিকে গ্যাটউইক বিমানবন্দরের সিসিটিভি ক্যামেরায় তাদের একসঙ্গে দেশ ছাড়ার ছবি ধরা পড়ে, যা পরে সংবাদপত্রেও আসে।

লন্ডনের পুলিশ সে সময় তাদের সন্ধানে সবার সহযোগিতা চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। মেয়েদের বাড়ি ফেরার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছিল পরিবারের পক্ষ থেকে।

অনলাইনে জঙ্গি প্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে ওই তিন কিশোরী আইএসের কথিত জিহাদীদের বিয়ে করতে পরিবার ও দেশ ছাড়ে বলে ধারণা করা হয়।

লন্ডন থেকে বিমানে চড়ে তুরস্ক যাওয়ার পর তারা বাসে করে সিরিয়া সীমান্তে পৌঁছায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment