মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ থেকে বিশিষ্ঠ শিল্পপতি হারুনার রশিদ খাঁন মুন্নু, জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খাঁন শান্তসহ ৬ জন সদ্য ঘোষিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাই পেয়েছে। আফরোজা খান রিতা সাবেক মন্ত্রী মুন্নুর মেয়ে ও শান্ত সাবেক শিল্পমন্ত্রী প্রয়াত সামসুল ইসলাম খাঁন নয়া মিয়ার ছেলে।
৫৯৪ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটিতে স্থান পাওয়া অন্যরা হলেন, দলটির দু:সময়ের কান্ডারী প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলেয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস, এ জিন্নাহ ও সাবেক ছাত্রনেত্রী রুখসানা খানম মিতু। তাঁদেরকে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কমিটি ঘোষনার পর উজ্জিবিত হয়ে উঠেছে সরকারের দমন-পীড়নে ঝিমিয়ে পড়া জেলার তৃণমূল বিএনপির নেতা কর্মীরা। প্রতিদিন শতশত কর্মী-সমর্থকরা দল বেধে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাঁদের প্রাণপ্রিয় নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে।
জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মাসুদ পারভেছ বলেন, সাবেক মন্ত্রী হারুনার রশিদ খাঁন ও তাঁর সুযোগ্য মেয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা ও দক্ষ সংগঠক সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম খাঁন শান্তকে দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা করায় জিমিয়ে পড়া বিএনপি সুসংগঠিত ও চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মানিকগঞ্জের ৬ নেতাকে স্থান দেয়ায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানান।
আফরোজা খান রিতা বলেন, আমি এর আগে জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। দু:সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দলের জন্য কাজ করেছি ও এখনো করে যাচ্ছি। সাংগঠনিক দক্ষতা ও দল গোছানোয় বিশেষ ভূমিকা রাখায় দেশনেত্রী আমাদের পিতা-কন্যাকে তাঁর উপদেষ্টা বানিয়েছেন। তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খাঁন শান্ত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেক রহমানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছে। এ থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে জাতীয়তাবাদী শক্তির বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, আমার এ প্রাপ্ত সম্মান মানিকগঞ্জের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ত্যাগের ফসল।