মানিকগঞ্জে নিহত কলেজ ছাত্রীর ধর্ষক ভন্ড কবিরাজের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

মানিকগঞ্জের শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সম্মান ২য় বর্ষের ছাত্রী নুরজাহান আক্তার মলিকে ধর্ষন ও আত্বহত্যা প্ররোচনার মামলার আসামী কথিত ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বোয়ালিয়া এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এতে নিহত কলেজ ছাত্রীর সহপাঠী, স্বজন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সমাজের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। ঘন্টাব্যপী মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. বাসুদেব কুমার দে শিকদার, ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক ড. উত্তম কুমার সরকার, নিহত কলেজ ছাত্রী মলির বাবা আব্দুল গফুর ও সহপাঠীরা। সমাবেশে বক্তারা গ্রাম্য ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। উল্লেখ্য: গত ১ লা আগষ্ট মলির অসুস্থ্য ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে বাড়িতে ডেকে আনা হয় কথিত ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনকে। কবিরাজ আওলাদ হোসেন বলেন, বাড়ির একজন অবিবাহিত মেয়েকে শিখিয়ে দেয়া মন্ত্র দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। সে অনুযায়ী মলিকে নিয়ে ভন্ড কবিরাজ রাতভর একটি ঘরে অবস্থান করেন। বাড়ির সবাইকে অন্য ঘরের দরজা বন্ধ করে অবস্থানের নির্দেশ দেয় কবিরাজ। পরের দিন ভোরে কবিরাজ চলে যায়। এরপর মলি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এদিন সে কারও সাথে কোনো কথা বলেনি, খাবারও খায়নি। পরিবারের সবার ধারণা করছিলেন, কবিরাজের সাথে ধ্যানে বসে মলি হয়ত অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু ২ আগষ্ট সকালে শোবার ঘরে মলির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে তার হাতে লেখা চিঠি থেকে ধারণা করা হয় কবিরাজের হাতে ধর্ষনের শিকার হয়ে সে লাজ লজ্জায় আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় মলির বাবা মেয়ের আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনকে আসামী করে শিবালয থানায় একটি মামলা করেন। ওই দিনই কথিত কবিরাজকে গ্রেফতার করে শিবালয় থানা পুলিশ। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। মলির চিঠিতে আরো লিখা রয়েছে, আমার জীবনে অনেক আশা ও স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সবই শেষ হয়ে গেছে। নির্যাতনের কষ্ট সইতে পারলাম না। তাই আত্মহত্যা করে সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম।

13319705_887717598005898_3066462706435228240_n

মানিকগঞ্জের শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সম্মান ২য় বর্ষের ছাত্রী নুরজাহান আক্তার মলিকে ধর্ষন ও আত্বহত্যা প্ররোচনার মামলার আসামী কথিত ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানিকগঞ্জের শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সম্মান ২য় বর্ষের ছাত্রী নুরজাহান আক্তার মলিকে ধর্ষন ও আত্বহত্যা প্ররোচনার মামলার আসামী কথিত ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বোয়ালিয়া এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এতে নিহত কলেজ ছাত্রীর সহপাঠী, স্বজন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সমাজের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।  ঘন্টাব্যপী মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. বাসুদেব কুমার দে শিকদার, ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক ড. উত্তম কুমার সরকার, নিহত কলেজ ছাত্রী মলির বাবা আব্দুল গফুর ও সহপাঠীরা। সমাবেশে বক্তারা গ্রাম্য ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।  উল্লেখ্য: গত ১ লা আগষ্ট মলির অসুস্থ্য ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে বাড়িতে ডেকে আনা হয় কথিত ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনকে। কবিরাজ আওলাদ হোসেন বলেন, বাড়ির একজন অবিবাহিত মেয়েকে শিখিয়ে দেয়া মন্ত্র দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। সে অনুযায়ী মলিকে নিয়ে ভন্ড কবিরাজ রাতভর একটি ঘরে অবস্থান করেন। বাড়ির সবাইকে অন্য ঘরের দরজা বন্ধ করে অবস্থানের নির্দেশ দেয় কবিরাজ। পরের দিন ভোরে কবিরাজ চলে যায়। এরপর মলি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এদিন সে কারও সাথে কোনো কথা বলেনি, খাবারও খায়নি।  পরিবারের সবার ধারণা করছিলেন, কবিরাজের সাথে ধ্যানে বসে মলি হয়ত অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু ২ আগষ্ট সকালে শোবার ঘরে মলির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে তার হাতে লেখা চিঠি থেকে ধারণা করা হয় কবিরাজের হাতে ধর্ষনের শিকার হয়ে সে লাজ লজ্জায় আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় মলির বাবা মেয়ের আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনকে আসামী করে শিবালয থানায় একটি মামলা করেন। ওই দিনই কথিত কবিরাজকে গ্রেফতার করে শিবালয় থানা পুলিশ। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে।  মলির চিঠিতে আরো লিখা রয়েছে, আমার জীবনে অনেক আশা ও স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সবই শেষ হয়ে গেছে। নির্যাতনের কষ্ট সইতে পারলাম না। তাই আত্মহত্যা করে সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বোয়ালিয়া এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এতে নিহত কলেজ ছাত্রীর সহপাঠী, স্বজন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সমাজের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।

ঘন্টাব্যপী মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. বাসুদেব কুমার দে শিকদার, ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক ড. উত্তম কুমার সরকার, নিহত কলেজ ছাত্রী মলির বাবা আব্দুল গফুর ও সহপাঠীরা। সমাবেশে বক্তারা গ্রাম্য ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

Brand Bazaar

উল্লেখ্য: গত ১ লা আগষ্ট মলির অসুস্থ্য ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে বাড়িতে ডেকে আনা হয় কথিত ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনকে। কবিরাজ আওলাদ হোসেন বলেন, বাড়ির একজন অবিবাহিত মেয়েকে শিখিয়ে দেয়া মন্ত্র দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। সে অনুযায়ী মলিকে নিয়ে ভন্ড কবিরাজ রাতভর একটি ঘরে অবস্থান করেন। বাড়ির সবাইকে অন্য ঘরের দরজা বন্ধ করে অবস্থানের নির্দেশ দেয় কবিরাজ। পরের দিন ভোরে কবিরাজ চলে যায়। এরপর মলি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এদিন সে কারও সাথে কোনো কথা বলেনি, খাবারও খায়নি।

পরিবারের সবার ধারণা করছিলেন, কবিরাজের সাথে ধ্যানে বসে মলি হয়ত অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু ২ আগষ্ট সকালে শোবার ঘরে মলির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে তার হাতে লেখা চিঠি থেকে ধারণা করা হয় কবিরাজের হাতে ধর্ষনের শিকার হয়ে সে লাজ লজ্জায় আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় মলির বাবা মেয়ের আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ভন্ড কবিরাজ আওলাদ হোসেনকে আসামী করে শিবালয থানায় একটি মামলা করেন। ওই দিনই কথিত কবিরাজকে গ্রেফতার করে শিবালয় থানা পুলিশ। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে।

মলির চিঠিতে আরো লিখা রয়েছে, আমার জীবনে অনেক আশা ও স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সবই শেষ হয়ে গেছে। নির্যাতনের কষ্ট সইতে পারলাম না। তাই আত্মহত্যা করে সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment