সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এছাড়া দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো জোরদারের বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ কথা বলেন তাঁরা।
কোনোভাবেই বাংলাদেশের মাটিকে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে সফররত মার্কিন মন্ত্রীকে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিকালে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করবেন জন কেরি।
এরপর সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে বিশেষ ফ্লাইটে কেরি নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।
জন কেরির সফর উপলক্ষে বিমানবন্দরসহ রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ‘স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স’ (এসএসএফ) সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
এর বাইরে নিরাপত্তা তদারকি করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অগ্রবর্তী দল ঢাকায় অবস্থান করছে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা নিয়েই মূলত জন কেরি ৯ ঘণ্টার এ ঝটিকা সফর করছেন।
গত পাঁচ বছরে এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর। ২০১২ সালের ৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছিলেন।
হিলারির ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারত্ব সংলাপ শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বিকেলে ধানমণ্ডির ইএমকে সেন্টারে নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন জন কেরি। এরপর মিরপুরে একটি পোশাক শিল্প-কারখানা পরিদর্শন এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে জন কেরির।