সিংগাইর থানার দারোগার বিরুদ্ধে গ্রেফতার বানিজ্যের অভিযোগ

সিংগাইর থানার দারোগার বিরুদ্ধে গ্রেফতার বানিজ্যের অভিযোগ

 

সিংগাইর থানার সহকারি পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের নামে গ্রেফতার বানিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে। নিরীহ মানুষকে মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগে আটক করে মামলা না দিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দন্ডাদেশ দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

সিংগাইর থানার দারোগার বিরুদ্ধে গ্রেফতার বানিজ্যের অভিযোগ
জানা গেছে এএসআই ফরহাদ মাস দেড়েক আগে সিংগাইর থানায় যোগদান করেন। পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নিরীহ লোকজনকে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের অজুহাতে গ্রেফতারসহ হয়রানির অভিযোগ ওঠে। গত ১৯ আগষ্ট সন্ধ্যার পর পৌর এলাকার ঋষিপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্রীজের কাছ থেকে গোবিন্ধল যাদুরচর এলাকার আব্দুর রশিদের পুত্র ওমর ফারুক (২১), মৃত দুদু মিয়ার পুত্র মিলন (২০) ও বিনোদপুর নয়াপাড়া গ্রামের আঃ জলিলের পুত্র সাদ্দাম (১৯)কে আটক করেন এএসআই ফরহাদ। আটককৃতদের মধ্যে মিলনের কাছে এক পুটলা গাঁজা পায়। ওই রাতেই থানায় মিলনসহ ৩ জনকে আটক রেখে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন ওই দারোগা। প্রথমে তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মামলা দিয়ে কোর্টে চালান দেয়ার ভয় দেখায়। পরদিন গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দারোগাকে মোবাইল কোর্ট করানোর শর্তে ১৩ হাজার টাকা দিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তারা ছাড়া পায়। গত ২০ আগস্ট সন্ধ্যার পর পৌর সদরের আঙ্গারিয়া পুকুরপাড়া মহল্লার মজিবর রহমানের পুত্র শহিদুলকে (২৮)তাদের বাড়ির পাশ থেকে সিগারেটে ভরে গাজা খাওয়ার অপরাধে আটক করেন এএসআই ফরহাদ হোসেন। পরদিন তার কাছ থেকেও একই কায়দায় ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ গোবিন্ধল গ্রামের জনৈক কালা মানিককে সঙ্গে নিয়ে থানা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। পুলিশ সদস্যের পরিবর্তে কালা মানিক নির্ভর হয়ে পড়েছেন তিনি। এএসআই ফরহাদের গত ১ সপ্তাহে একের পর এক এহেন কর্মকান্ড ফাস হয়ে গেলে থানা পুলিশসহ এলাকাবাসীর মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment