সহনশীল হয়ে ঘুষ খাওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ (২৫ ডিসেম্বর) দৈনিক মানবজমিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও আমাদের সময়ে যথাক্রমে ‘খালি অফিসাররা চোর না’, ’সহনশীল হয়ে ঘুষ খাবেন’ এবং ’সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার পরামর্শ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে প্রকাশিত সংবাদে ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, রোববার (২৪ ডিসেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ল্যাপটপ ও প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এ অধিদপ্তরের অতীতের/আট বছর আগের উদাহরণ দিতে গিয়ে ডিআইএর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে পিয়ার ইনস্পেকশন ও ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালুর ফলে এ অবস্থার অনেক পরিবর্তন ও উন্নতি হয়েছে।
ডিআইএর কর্মকর্তাদের কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিআইএর একজন কর্মকর্তাকে দুর্নীতির প্রমাণসহ দুদকের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মন্ত্রী ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে ডিআইএসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি স্মরণ করিয়ে দেন।
কিন্তু প্রকাশিত সংবাদগুলোতে ডিআইএর অতীতবিষয়ক বক্তব্য বা তুলনাকে বর্তমানের কথা ধরে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা দুঃখজনক, বিভ্রান্তিকর ও শিক্ষামন্ত্রীর মূল বক্তব্যের বিপরীত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বর্তমান নীতির পরিপন্থি।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরে ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থার ওপর এক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শুধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নন, মন্ত্রী-এমপিরাও দুর্নীতি করেন। তাই ঘুষ না নিতে বলার সাহস আমার নেই। আপনারা ঘুষ নেন, তবে তা সহনীয় মাত্রায় নেবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘নানা জায়গাতে এমন হচ্ছে। খালি যে অফিসাররা চোর তা না, মন্ত্রীরাও চোর। আমিও চোর। এ জগতে এমনই চলে আসছে।’