দোহারে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে দালালই সব

দোহারে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে দালালই সব

মাহবুবুর রহমান টিপু,বিশেষ প্রতিনিধি(ঢাকা):-
দোহার উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে দালালই সব এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের।টিআর,কাবিটা প্রকল্পের কর্মকর্তা নামে থাকলেও বাস্তবে সব কাজ কর্ম করেন মো.মোক্তার হোসেন নামে এক দালাল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে,উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে মো.মোক্তার হোসেন নামে একজন দালাল সকলের প্রকল্পের হিসাব ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করছে।এ সময়ে তার নাম জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বলেন আমি প্রকল্প কর্মকর্তার সহকারি এবং সকল প্রকল্পের অনুমোদন আমি করিয়ে থাকি।প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করতে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোক জনের সাথে আলাপকালে তারা ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,প্রকল্প অনুযায়ী ৫% নগদ কমিশন দিলেই তার প্রকল্পের সমস্ত কাগজপত্র এই মোক্তার হোসেন করে থাকেন।
 দোহারে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে দালালই সবআর বিষয়টা কেউ না বুঝে তারসাথে যোগাযোগ না করলে তাকে মাসের পর মাস ঘুরতে হয় পিআইওর অফিসে।অবশেষে প্রকল্প বাতিল বলে প্রচার করেন এই দালাল মোক্তার হোসেন এই অভিযোগ অনেকের।আর তখনই একটি অভিযোগ পেলাম দোহার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো.কামরুল হাসানের কাছ থেকে।তিনি বললেন এই দালালটা টাকা না দিলে কোন কাজ করেন না।তার বড় প্রমান হলো আমাদের প্রেস ক্লাবের নামে ৫০০০০/(পঞ্চাশ)হাজার টাকার টিআর বরাদ্ধ করা হয়েছে গত জানুয়ারী মাসে।নগদ উৎকোচ না দেওয়ায় একমাস যাবৎ দালালটা ঘুরাচ্ছে।অবশেষে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা আবু সাঈদ মল্লিকের সাথে আলাপকালে জানা যায়,মোক্তার হোসেন অফিসের কেউ নয়।তবে সে সেচ্ছায় দীর্ঘদিন যাবৎ এ অফিসে বিভিন্ন কাগজপত্র ফটোকপি ও ছবি সংজোযনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ বিষয়ে মোক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি এখানে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছি।তবে আমার এখানে কোন নিয়োগ নাই।এ অফিসের সব গোপন নথি আমার কাছে থাকে।আপনার কিছু করার থাকলে আপনি করে দেখান তবে এর পরিনাম ভালো হবে না। এ বিষয়ে সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা আবু সাঈদ মল্লিক সমকালকে জানান,আমি দোহারে যোগদান করার আগে থেকে মোক্তারকে আমাদের অফিসে দেখছি।
এ বিষয়ে প্রকল্প কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এর সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আগামীর সময়কে জানান,মোক্তার হোসেনকে আমি চিনি।তিনি আমাদের অফিসে কাজ করেন তবে কোন নিয়োগ আছে কিনা এ বিষয়ে আমি জানি না।সকল প্রকল্প মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকট সালমা ইসলাম এম.পির স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।তাছাড়া আমি বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি দোহারে। দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সিরাজুল ইসলাম আগামীর সময়কে জানান,এই ভুয়া দালালটার দূর্নীতির বিষয়ে তদন্ত চলছে।প্রকল্প কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএমআল-আমিন আগামীর সময়কে জানান,প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর হোসেন আগামীর সময়কে জানান,ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারের অর্থ আতœসাৎ করে থাকলে দোষীকে খুজে বের করা হবে এবং আইনের আওতায় এনে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্ঠান্তমুলক সাজা হওয়া দরকার তাতে সরকারী অর্থ লুটকারীরা ভবিষ্যতে এইরকম কর্মকান্ড না ঘটায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment