হবিগঞ্জে মাকে বেঁধে মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ

হবিগঞ্জে মাকে বেঁধে মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় মাকে বেঁধে রেখে তরুণী মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে (২৩) হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার ভোররাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের মানিক ভাণ্ডার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ দাবি করছে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।
হবিগঞ্জে মাকে বেঁধে মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগধর্ষণের শিকার তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে মানিক ভাণ্ডার গ্রামের ওই তরুণীকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিল একই গ্রামের মিজান মিয়া ও ফজুল হক নামে দুইজন। এছাড়াও বেশ কয়েকবার তাকে কু-প্রস্তাব দেয়া হয় বলেও জানায় তরুণীর পরিবার।

শনিবার ভোররাতে গৃহকর্তা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মিজান ও ফজুল হকসহ বেশ কয়েকজন জোর করে ও তরুণীর ঘরে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা ওই মেয়েকে হাত পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মেয়েটির চিৎকার শুনে মা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তার মাকে বেধড়ক মারপিট করে । হাত-পা বেঁধে আটকে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ দাবি করছে ওই এলাকায় কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। তাদের মধ্যে পারিবারিক ও জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে তাদের প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছে। হামলায় মা-মেয়ে দুজনই আহত হয়েছে।

এদিকে পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কমর্রত ডাক্তার দেবাশীষ দাস জানান, মেডিক্যাল টিম গঠন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, তারা একে অপরের আত্মীয়। তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে তাদেরকে মারপিট করা হয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment