মানসম্পন্ন শিক্ষার বিকল্প নেই : প্রধানমন্ত্রী

মানসম্পন্ন শিক্ষার বিকল্প নেই : প্রধানমন্ত্রী

উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে মানসম্পন্ন ও সময়োপযোগী উচ্চশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
মানসম্পন্ন শিক্ষার বিকল্প নেই : প্রধানমন্ত্রীতিনি বলেন, মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিই পারে সকল প্রতিকূলতা এবং প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে সভ্যতাকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রদত্ত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৫ ও ২০১৬’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উদ্যোগে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ ২০১৫ ও ২০১৬ প্রদান অনুষ্ঠানে এ বছর ২৬৫ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে পদকে ভূষিত করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব অনুষদে সর্বোচ্চ নম্বর বা সিজিপিএ অর্জনের স্বীকৃতি হিসাবে ২০১৫ সালের জন্য ১২৪ জন এবং ২০১৬ সালের জন্য ১৪১ শিক্ষার্থী এই পদক লাভ করেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।

ইউজিসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া পদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়া জাবিন লতা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ অনুষ্ঠানে স্ব-স্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
ইউজিসি’র সদস্য, প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী পরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যগণ, সরকারের পদস্থ কমৃকর্তাবৃন্দ, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান, ইউজিসির বর্তমান এবং সাবেক সদস্যবৃন্দ, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যগণ, শিক্ষাবিদ, স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ এবং ইউজিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক বিজয়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এতগুলো ছেলে-মেয়ে আমাদের কাছ থেকে স্বর্ণ পদক পেল অর্থাৎ কত মেধা আমাদের দেশে রয়েছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা পৃথিবীর অনেক দেশের থেকে মেধাবী বলে আমি বিশ্বাস করি।

সরকার প্রধান বলেন, শুধু এখানে মেধার বিকাশে সুযোগটা সৃষ্টি করে দেয়ার দরকার। মেধা ও মনন চর্চার একটি সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া এবং সেটা করতে পারলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা যে, কত ভাল করতে পারে সেটা আমার জানা আছে। তিনি বলেন, আজকে ২৬৫ জনকে আমরা স্বর্ণপদক দিলাম। আমি সত্যই খুব আনন্দিত। আর ২০১৬ সালের বেলায় আমি লক্ষ্য করলাম মেয়েদের সংখ্যাটা বেশ বেড়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বলতেন একটি সমাজে নারী-পুরুষ সকলেরই সমান অধিকার থাকা উচিত, সবাইকেই সমান সুযোগ করে দিতে হবে। কাজেই আমরা সেটারই চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ছেলেদের পড়াশোনায় আরো মনযোগী হবার আহবান জানিয়ে বলেন, শুধুৃ লেখাপড়া নয়, খেলাধূলা এবং সংস্কৃতি চর্চা সবদিকেই প্রচেষ্টা থাকতে হবে। এজন্য তাঁর সরকার প্রত্যেকটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দেবে যেন সেখানে সারাবছর খেলাধূলা চলতে পারে। তিনি বলেন, সবাইতো চলে গেছে আমরা দুই বোনই বেঁচে আছি (তিনি ও শেখ রেহানা)। আমরা কখনই আমাদের সন্তানদের পড় পড় পড়- এভাবে বলি না, বরং বলি এটা তোমার পড়া এটা তোমাকে পড়তে হবে। নিজের গরজেই পড়তে হবে। দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এই স্বাধীনতা যেন ব্যর্থতায় পর্যবসিত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্যও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment