সাখাওয়াত হোসেন ইমন,ভোলা।।
ভোলায় হাসনুর (১৯) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ নিয়ে ধ্রূমজাল সৃষ্টি হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ২ নং ওয়র্ডে এ-ঘটনা ঘটে। হাসনুর সর্দার বাড়ির মাহবুল আলমের স্ত্রী ও পাশ্ববর্তী ৫ নং ওয়ার্ডের আঃ কাদেরের সর্দারের মেয়ে। এলাকা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭/৮ মাস আগে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক পরিবারের সম্মতিতে মাহবুলের সাথে হাসনুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভালো চলছিলো।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা হঠাৎ করে হাসনুর তার শ্বশুরের ঘরের আড়ার সাথে দড়ি দিয়ে ঝুলানো রয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পরে। এলাকায় গুঞ্জন রটেছে যে, হাসনুরকে তার দেবর কর্তৃক নির্যাতনের এক পর্যায় হত্যা করে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঝুলন্ত লাসের ছবি ভিডিও এবং এমন গুঞ্জনের কারন হিসাবে জানাগেছে, ঝুলন্ত অবস্থায় লাসের জিহ্বা বা চোখ বের হওয়া ছিলোনা, বরং হাত মুট করা ও পাও ভাজ ছিলো, শুধু তাই নয় যে খাটের উপর তাকে ঝুলানো হয়েছে সে খাটের উপর আড়া তার মাথার নিকটে সে ইচ্ছে করলেই হাত দিয়ে ধরতে পারতো এমনকি ঝুলন্ত দড়িটিও দুই প্যাচ দেওয়া ছিলো। স্থানিয়রা জানায়, হত্যার পরবর্তিতে এর লাশ নিয়ে এলাকায় প্রভাবশালীদের মধ্যে তিন লক্ষ টাকায় ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় এবং হাসনুরের অভিবাকদের ভয়ভিতি দেখিয়ে বিষটি ধধামা চাপার চেস্টা করা হচ্ছে। ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ গোলাম মাওলা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভোলায় গৃহবধূর মরদেহ নিয়ে ধ্রূমজাল সৃষ্টি
