বেঁচে ফেরা আরো ৩ জন ঢাকা মেডিকেলে

বেঁচে ফেরা আরো ৩ জন ঢাকা মেডিকেলে

নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত তিন বাংলাদেশিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়।

পরে তাদের দ্রুত বার্ন ইউনিটের ক্যাবিন ব্লকে নেওয়া হয়। একই পরিবারের আহত তিনজন হলেন- মেহেদী হাসান, সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলিমুন্নাহার অ্যানি।

জানা গেছে, আহত তিনজনকেই ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের ভিআইপি কেবিন ব্লকে রাখা হবে।

এর আগে নেপাল থেকে তাদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি০৭২ ফ্লাইটে বিকেল ৩টা ৩৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টার দিকে ৮ নং গেট দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম জানান, মেহেদী ও স্বর্ণা স্বামী-স্ত্রী। অ্যানি মেহেদীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী।

 

তিনি বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কাঠমান্ডু থেকে দুপুর দেড়টার দিকে রওনা দেন আহত তিনজন। বেলা তিনটা ৩৬ মিনিটে তারা শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান।’

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার আহত শেহরিন আহমেদকে নেপাল থেকে ঢাকা আনা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

একই ভাবে গত বুধবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত ডা. রেজওয়ানুল হক শাওনকে নেপাল থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।

এছাড়া আহত বাকি ৫ জন নেপালের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে নরভিক হাসপাতালে ইয়াকুব আলী। আর বাকি চারজন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন- শাহীন ব্যাপারী, মিসেস ইমরানা কবির হাসি, শেখ রাশেদ রুবায়েত ও মো. কবির হোসেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment