‘দেশে একটি শিশুও পথশিশু থাকবে না’

‘দেশে একটি শিশুও পথশিশু থাকবে না’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমারা দুই বোন ৬ বছর শরণার্থী শিবিরে দুর্বিষহ দিন কাটিয়েছি। স্বজন হারানোর বেদনানিয়ে আমাদের জীবন কাটে। তারপরও জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশে ফিরে আসি। আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।

 

আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

 

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর ২১ বছর আমরা ক্ষতায় আসতে পারিনি। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই দেশকে এগিয়ে নিতে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ দেশে একটি শিশুও পথশিশু থাকবে না। প্রতিটি শিশু লেখাপড়া করবে। সুন্দর জীবন পাবে। মাথা উঁচু করে চলবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন দেশ গড়ার জন্য। তিনি যদি আরেকটু সময় পেতেন, তবে বাংলাদেশ বহু আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতে পারতো। বঙ্গবন্ধুর লেখা কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম এবং দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসার বিষয়টি বোঝা যায়। আর তার এ ভালোবাসার জন্যই তিনি অনেক জেল-জুলুম-নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, একটানা দুই বছরের বেশি বঙ্গবন্ধুকে কারাগারের বাইরে থাকতে দেখিনি। তারপরও তিনি জাতির উন্নতির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন।

 

জাতিসংঘের দেওয়া স্বীকৃতি প্রসঙ্গে বলেন, জাতির জনকের জন্মদিনে এতো বড় স্বীকৃতি জাতির জন্য বিশাল এক অর্জন। বড় সুখবর পেলাম, আমরা আর পিছিয়ে নেই। জাতিসংঘের দেওয়া স্বীকৃতি অনুযায়ী আজ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উপনীত হলো। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে গেলো। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাই।

 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তারা নিয়মিত লেখাপড়া করছে কিনা, খেয়াল রাখতে হবে। সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে লেখাপড়া করে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে বাবা মায়েদের।

 

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পন শেষে মোনাজাত করেন।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment