বিশেষ প্রতিনিধি(ঢাকা):
নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের তুইতাল থেকে খানেপুর রাহুৎহাটি পর্যন্ত চার কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তায় অনিয়ম ও নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ এলাবাসীর।
সরেজমিনে জানা যায়,উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের তুইতাল থেকে রাহুৎহাটি পর্যন্ত চার কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মানে অনিয়ম ও নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহারের সত্যতা প্রকাশ করেন স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবিন্দ,মেম্বারগন ও ইউপি চেয়ারম্যান।
উপজেলা প্রকোশলী সুত্রে জানা যায়,গতবছরের জানুয়ারী মাসে স্থানীয় সংসদ এ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের অগ্রাধিকার ভিত্তিত্বে নেওয়া প্রকল্প থেকে এলজিইডি ৪ কিলোমিটার রাস্তা নির্মানের আড়াই কোটি টাকা ব্যায় ধরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সেলিম এন্টারপ্রাইজের নামে বরাদ্ধ দেন এলজিইডি কতৃপক্ষ।নির্ধারিত সময়ে কাজটি শুরু করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় এক বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও কাজটি সমাপ্ত করেন নাই।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে তারা অভিযোগ করে বলেন,রাস্তাটি নির্মানের সময়ে নিন্মমানের ৩ নাম্বার ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়।যার ফলে এখন রাস্তার কার্পেটিং করার আগেই ইটের খোয়া পাউডারে পরিনত হয়েছে।যা একটু বাতাস পেলে উড়তে শুরু করে।তাছাড়াও এই রাস্তাটি আমাদের তিন গ্রামের একমাত্র রাস্তা,সঠিক সময়ে রাস্তাটি না হওয়াতে আমরা নয়শ্রীবাসী অনেক ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছি।
এ বিষয়ে ৪/৫/৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আনোয়ারা দৈনিক আগামীর সময় কে জানান,প্রায় এক বছরের অধিক সময় নিয়ে কাজটি শেষ করেন নাই ঠিকাদার। এলাকাবাসী রাস্তাটি নির্মানের সময়ে ঠিকাদার কতৃক নিন্মমানের ৩ নাম্বার ইটের খোয়া ব্যবহার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদারের লোকজনকে ঘেরাও করেন।পরে উপজেলা প্রকৌশলী এসে আমাদের আশ্বন্ত করেন এবং রাস্তা নির্মানে জন্য আমাদের চুপ থাকতে বলেন। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের কাছে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বাজার কমিটির সাধারন-সম্পাদক আনিছুর রহমান আনিছ দৈনিক আগামীর সময়কে জানান,উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদার মিলেমিশে সরকারি অর্থ লুটপাটের সাথে জড়িত।আমরা বারবার উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোন ফল পাইনি।
বাজার ব্যবসায়ী আ:মজিদ,আনোয়ার হোসেন,শেখ ফরিদ,আফতাফ মুন্সি,খইমুদ্দিনসহ স্থানীয় স্কুল কমিটির নেতৃবিন্দরা এঘটনায় হতভাগ। সরকারি টাকা এভাবে লুটপাট করা যায়,তা শুধু আগে শুনেছেন।এবার সচক্ষে তা দেখলেন সবাই।
নবাবগঞ্জ উপজেলার সেচ্ছাসেবক পার্টির সাবেক আহবায়ক ও খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সদস্য মো.সাইফুল ইসলাম দৈনিক আগামীর সময়কে বলেন,রাস্তা নির্মানে অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়টি এই তিন গ্রামের সবারই জানা।এখন আপনারাও জানলেন দেখা যাক কি হয়।
এ বিষয়ে নয়নশ্রী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো.রিপন মোল্লা দৈনিক আগামীর সময়কে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,উপজেলা প্রকৌশলীদের সাথে কি পেরে উঠবেন? তারাতো সবকিছুই জানেন!তাছাড়া আইনতো তাদের হাতেই!আপনাদের প্রতি শুভ কামনা রইল।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মের্সাস সেলিম এন্টারপ্রাইজের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক আগামীর সময়কে বলেন,দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ ঠিকাদারী করছি।সবকিছুই আমার জানা,আপনি কিভাবে প্রমান করবেন যে আমার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করেছেন? পারলে করে দেখান বলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকোশলী মো.শাহজাহানের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।