যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন রিপাবলিকান দলের জ্যেষ্ঠ আইন প্রণেতারা। সাবেক এফবিআই প্রধান ও রিপাবলিকান নেতা রবার্ট মুলারকে বরখাস্ত করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন সম্ভাবণা আচ পেয়ে তারা তারা ট্রাম্পকে সতর্ক করেন।
২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ হয়েছিল কিনা। এ নিয়ে তদন্ত করছেন রবার্ট মুলার। ট্রাম্প মুলারের তদন্তে সন্তুষ্ট নন। এক টুইট বার্তায় মুলারের তদন্ত নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। ১৮ মার্চে লেখা ওই টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, কেন মুলারের তদন্ত দলে ১৩ জন কট্টরপন্থী ডেমোক্রেট। এদের মধ্যে কেউ কেউ কুটিল হিলারির সমর্থক। আর রিপাবলিকানদের কেউ নেই। সম্প্রতি এই তদন্ত দলে আরেকজন ডেমোক্রেট যোগ হয়েছে। কে মনে করবে এখানে স্বচ্ছভাবে কাজ হবে।
এই টুইটের পরই নড়ে চড়ে বসছেন জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা। রবার্ট মুলারের তদন্ত কাজে বাধা দিতে পারেন ট্রাম্প। এমন ইংগিত পাওয়ার পর তারা একযোগ ট্রাম্পকে সতর্ক করে বার্তা দেন।
রিপাবলিকান সিনেটর লিনডসে গ্রাহাম বলেছেন, মুলারের কাজে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া উচিত। বহু রিপাবলিকান তার এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করেন বলে তিনি জানান।
গ্রাহাম আরো বলেন, যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মুলারকে বরখাস্ত করার মতো কোনো পদক্ষেপ নেন, তবে এটাই হবে ট্রাম্পের শেষ প্রেসিডেন্সি। কারণ আমরাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করি।
আরেক রিপাবলিকান সিনেটর, জেফ ফ্ল্যাক বলেছেন, মনে হচ্ছে ট্রাম্প মুলারকে বরখাস্ত করার জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করছেন। আমরা জানি না মুলারকে ঠেকানোর জন্য কি কৌশল নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে কংগ্রেস কোনো মতেই মুলারের বরখাস্ত মেনে নেবে না। সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের মুখপাত্র অ্যাশলি স্ট্রোং ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান বলেছেন, মুলার ও তার দলকে যে কাজ করতে দেয়া হয়েছে, সেটি তারা সফলভাবে করতে সক্ষম।
সিনেটের ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা চার্লস স্কুমার বলেছেন, ট্রাম্প মুলার তদন্তকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, মুলার হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রের লাল দাগ। তাকে বরখাস্ত করা মানে সেই লাল দাগ অতিক্রম করা। সেটা হওয়া উচিত নয় বলে মনে করি। সূত্র : বিবিসি