শ্রীনগরে শাশুড়ী-ভাসুরদের ফাঁসাতে ঘরে আগুনঃ নেপথ্যে যুবলীগ নেতা

শ্রীনগরে শাশুড়ী-ভাসুরদের ফাঁসাতে ঘরে আগুনঃ নেপথ্যে যুবলীগ নেতা

আরিফ হোসেন,শ্রীনগর প্রতিনিধিঃ-
শ্রীনগরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সংখ্যা লঘু পরিবারের এক গৃহবধুর বিরুদ্ধে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে শাশুড়ী ও ভাসুরদের পারিবারকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের জুরাসার গ্রামে এঘটনা ঘটে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, এর পেছনে থেকে স্থানীয় এক যুব লীগ নেতা কল কাঠি নাড়ছেন। পারিবারিক বিরোধকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ওই যুবলীগ নেতা সংখ্যা লঘু পরিবারটির জমি-জমা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সংখ্যা লঘু পরিবারটি ভয়ে ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ৩ বছর আগে ওই এলাকার মৃত রবীন্দ্র বাড়ৈয়ের ছোট ছেলে রতন বাড়ৈ (৩০) পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার নওপাড়া বাজারের ব্যবসা করার সময় একই বজারের খপুরী ঘরের ভাড়াটিয়া গাইবান্ধার সেফালী রানী (২৪) এর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।বিষয়টি জানাজানি হলে বাজারের লোকজন মিলে রতনের সাথে সেফালীর বিয়ে পরিয়ে দেয়।

এসময় রতনের পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেননা। বিয়ের ১ মাস পর স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে রতন নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।অনেক খোজাখুজি করেও রতনের সন্ধান পায়নি তার পরিবার।এক বছরের মাথায় সেফালীর গর্ভে এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। রতনের অনুপুস্থিতিতে ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানের ভরণ-পোষনের দায়িত্ব নেয় দিন মজুর ভাসুররা।

রতনের সন্ধান না পেয়ে সেফালী তার শাশুড়ী ও ভাসুরদের ফাঁসানোর জন্য নানা রকম ফন্দি আটতে থাকে। এক সপ্তাহ পূর্বে তিনি আশ্রয়হীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন বলে অভিযোগ আনেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সেফালির আশ্রয়হীন হওয়ার অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে ঘর পুড়ল কার?
মূলত ভাসুরদের অর্থে উঠিয়ে দেওয়া ঘরেই সেফালী তার সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন। ভাসুরদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় ঘরে আগুন দেওয়ার মতো সাজানো ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে স্থানীয়া সেফালীর পরামর্শদাতা ওই যুবলীগ নেতার উপর ক্ষুদ্ধ।

সেফালির ভাসুর হরি বাড়ৈ বলেন,আমরা দিন মজুর হয়েও রতনের স্ত্রী ও ছেলের ভরন পোষনের জন্য যথা সাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেফালী নিজের ইচ্ছে মত চলাফেরা করে আমাদের কোন রকম কথাবার্তা শোনে না।

আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে সে রতনের অংশীদার হিসেবে সম্পত্তি লিখে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। কয়েকদিন আগে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা প্রথমে জানায়, সেফালি তার কাছে সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে। পরে হিন্দু আইন আনুযায়ী স্ত্রীর মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তুললে ওই যুবলীগ নেতা ৩ লাখ টাকা দাবী করে। টাকা দিতে না পারায় ওই যুবলীগনেতা এখন পুরো সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য সংখ্যা লঘু পরিবারটিকে চাপ দিচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment