‘মওদুদ সাহেবদের ওপর খালেদার আস্থা নেই’

‘মওদুদ সাহেবদের ওপর খালেদার আস্থা নেই’

বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ এবং তাদের নিয়োগকৃত আইনজীবীদের ওপর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের কোনো আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাপ ভাসানী এবং মওলানা ভাসানী ঐক্যজোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

 

হাছান মাহমুদ বলেন, দেখলাম আপনারা বৃটিশ আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। অর্থাৎ মওদুদ আহমদ সাহেবদের ওপর এবং যেসব আইনজীবী নিয়ে গলাফাটান তাদের ওপর বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার কোনো আস্থাস নেই। তাই তারা এখন বৃটিশ আইনজীবী ভাড়া করেছেন। আর এই বৃটিশ আইনজীবী লর্ড আলেকজান্ডার চার্লস কারলাইল সালাইদ্দীন কাদের চৌধুরী এবং মীর কাশেম আলীর আইনি পরামর্শক ছিলেন।

 

তিনি বলেন, ব্রিটেনে এত আইনজীবী ছিল, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে এত আইনজীবী আপনারা কাউকে খুঁজে পেলেন না। যিনি যুদ্ধাপরাধীরদের পক্ষ নিয়েছিলেন তাকেই খুঁজে পেলেন। এতেই প্রমাণিত হয় একই বৃত্তে দুটি ফুল, একটি বিএনপি আপরটি হচ্ছে জামায়াত। অর্থাৎ তাদের যে প্রণয় সেটি কখনো ছেড়ার নয়।

 

উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতিতে বিএনপি জাতিকে অভিনন্দন না জানিয়ে রাজনৈতিক হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এটি ছিল পৃথিবীর স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত। পৃথিবীর অতিদরিদ্রের তালিকাভুক্ত দেশ ছিল বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা আগে দরিদ্র ছিলাম, এখন আমাদের কেউ দরিদ্র বলতে পারবে না, এটি জাতির জন্য অসামান্য বড় অর্জন। এই অর্জনে বিএনপির মত দল, যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন তারা জাতিকে অভিনন্দন জানাতে ব্যার্থ হয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা এবং রাজনৈতিক হীনমন্যতা।

 

বিএনপি বিদেশী কূটনীতিকদের সাথে দেশীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করে জাতিকে অপমানিত করেছে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল দেখলাম বিএনপি বিদেশী কূনীতিকদের সাথে বৈঠক করেছে নালিশ করার জন্য। তাদের কাজ হচ্ছে বিদেশীদের সাথে বৈঠক করে দেশের বিষয় নিয়ে নালিশ দেয়া। ভাইয়ে ভাইয়ে যখন ঝগড়া হয় সেই ঝগড়ার বিষয়ে যখন চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ দেয়া হয় তখন সেই পরিবারের দুর্নাম হয়। আজকে আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে, মতঐক্য থাকবে, মতানৈক্য থাকবে। সেগুলো আমরা নিজেরাই আলোচনা করে সমাধান করবো, সেটা আমাদের ঘরোয়া ব্যাপার। সেগুলো বিদেশীদের কাছে যারা নিয়ে যান তারা জাতিকে অপমান করেন।

 

এম এ ভাসানীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment