পুরাতন সিএনজি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেপ্টেম্বরেই

পুরাতন সিএনজি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেপ্টেম্বরেই

ঢাকা ও চট্টগ্রামে চলাচল করা ১৫ বছরের বেশি পুরনো অটোরিকশার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। এগুলো তুলে দেয়া হবে। তবে তা প্রতিস্থাপনের জন্য সময় দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশা প্রতিস্থাপনের জন্য আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে। আর চট্টগ্রামে সময় পাবে জুন পর্যন্ত।

গত ১৫ মার্চ বিআরটিএকে এক চিঠিতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে আজ মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামে চলাচল করা অটোরিকশার সময় বাড়ায়নি। তবে রিপ্লেসমেন্ট বা প্রতিস্থাপনের জন্য একটু সময় দিয়েছি। কারণ এগুলো তো হঠাৎ করে তুলে দেয়া যায় না। এতে জনগণের চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটবে; যাত্রীরা কষ্ট পাবে। এজন্য ধীরে ধীরে এগুলো তুলে নেয়া হবে।

কামরুল আহসান বলেন, ঢাকাতে ২০০২ সালের অটোরিকশাগুলো আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হবে। আমরা এ বিষয়ে বিআরটিএকে নির্দেশনা দিয়েছি। বিআরটিএ থেকে কমিটি করে এগুলো আস্তে আস্তে প্রতিস্থাপন করা হবে। আর চট্টগ্রামে চলাচল করা অটোরিকশাগুলো ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিস্থাপন করতে হবে।

বিআরটিএ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, ঢাকায় ১৩ হাজার ৬৫২টি এবং চট্টগ্রামের ১৩ হাজার মিলিয়ে ২৬ হাজার ৬৫২টি অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২০০২ সালে পাঁচ হাজার ৫৬১টি এবং চট্টগ্রামে সাত হাজার ৪৫৯টির নিবন্ধন দেওয়া হয়। এই ১৩ হাজার ২০টি অটোরিকশার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর।

নিবন্ধিত অটোরিকশার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪০০ বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের বিপরীতে আবার নতুন মডেলের অটোরিকশা নামানো হয়েছে। পুনঃনিবন্ধিত এসব অটোরিকশা প্রতিস্থাপন করতে হবে না।

দুই মহানগরে চলাচলকারী বাকি ১৩ হাজার ৬৪২টি অটোরিকশার মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর। এমন পরিস্থিতিতে মালিকপক্ষ আরও মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানালে বুয়েটের মতামত চায় বিআরটিএ।

বিআরটিএর সচিব মোহাম্মদ শওকত আলী জানান, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো দাবি করেছিল, মেয়াদ বাড়ানো না হলে অটোরিকশাগুলোকে প্রতিস্থাপনের জন্য সময় দিতে হবে।
তবে পরীক্ষার পর অটোরিকশাগুলো শতভাগ ফিটনেস নেই বলে মেয়াদ না বাড়ানোর পরামর্শ দেয় যন্ত্রকৌশল বিভাগ।

এ অবস্থায় ১৫ বছর পুরনো অটোরিকশার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি, শুধু প্রতিস্থাপনের জন্য কিছুটা সময় দেয়া হলো।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment