আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:-
আহমেদ শরীফ ডান হাতি ফাস্ট বোলার। আগামির তরুন সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। বয়সভিত্তিক বিভাগীয় অনুর্ধ্ব-১৪ দলে খেলেই ডাক পেয়েছেন জাতীয় অনুর্ধ্ব-১৫ প্রাথমিক দলে ২৯ মার্চ খেলবেন বিকেএসপিতে চ্যালেঞ্জ সিরিজ। সেখানেই ভালো খেললেই সুযোগ পাবেন জাতীয় অনুর্ধ্ব-১৫ দলে।
আহমেদ শরীফ ২০ নং চররমনি মোহন ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আবদুল বারিরেক ছেলে। পাঁচ ভাইবোনদের মধ্যে সে ৪র্থ। শরীফ পৌর শহরের শহীদ স্মৃতি একাডেমীতে পড়াশোনা করছে।
জানা যায়, জেলা ক্রিকেট একাডেমীতে ২০১৭ সালের প্রথম দিকে আহমেদ শরীফ ভর্তি হয়। সে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত ইয়ং টাইগার্স ক্রিকেট বিভাগীয় প্রতিযোগতিায় অংশগ্রহন করেই চট্টগ্রাম বিভাগীয় নির্বাচকদের নজর কাড়ে। খেলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় অনুর্ধ্ব-১৪ দলে। সেখানেও সে ভালো খেলে জাতীয় নির্বাচকদের নজরে আসেন। আর সুযোগ পেয়ে যান অনুর্ধ্ব-১৫ প্রাথমিক দলে।
২৯ মার্চ বিকেএসপিতে প্রাথমিক ডাক পাওয়া খেলোয়াড়দের দিয়ে খেলানো হবে চ্যালেঞ্জ সিরিজ। সেখানেই ভালো খেলে বয়সভিত্তিক জাতীয় নির্বাচকদের নজর কাড়তে পারলেই খেলবেন জাতীয় অনুর্ধ্ব-১৫ দলে।
আহমেদ শরীফ এই প্রতিবেদককে বলেন, ছোট বেলা থেকেই ফাস্ট বোলারদের ভালো লাগতো। তাদের মত হওয়ার জন্য ইচ্ছা হতো। সেই ইচ্ছা পুরনের জন্য ভর্তি হয় জেলা ক্রিকেট একাডেমীতে। সেখানে কোচ মনিরের তত্বাবধানে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শগুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছে ।
ফাস্ট বোলারদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে জোরে বল করা। কিন্তু শরীফের লক্ষ্য হচ্ছে লাইন লেন্থ ঠিক রেখেই জোরে বল করা। শরীফ জাতীয় অনুর্ধ্ব-১৫ মুল দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য সকলের দোয়া কামনা করেন।
জেলা ক্রিকেট একাডেমীর কোচ মনির হোসেন বলেন, শুরুতে শরীফের লাইন লেন্থ, ইন সুয়িং ভালো থাকলেও ফিটনেস ভালো ছিলো না। নিয়মিত প্রশিক্ষণের পর তার ব্যাপক পরিবর্তন হয। তার সবচেয়ে ভালো লাগে তাসকিনের মত রিস্ট থেকে বল রিলিজ করা। শরীফ নিয়মিত অনুশীলন, অধ্যবসায়, শৃঙ্খলাময় জীবন থাকলে কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করতে পারবে।
শরীফের বাবা আবদুল বারেক বলেন, পূর্বে উৎসাহ না দিলেও জেলা ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তার প্রতিভা দেখেই আগ্রহ বাড়ে। যখন যা প্রয়োজন হত তাই দিতাম। ছেলের সফলতার চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছার জন্য তিনিও জেলাবাসী সহ সকলের দোয়া কামনা করেন।
লক্ষ্মীপুরের শরীফ খেলবে জাতীয় অনুর্ধ্ব-১৫ দলে
