পুলিশ সুপার ও জেলা সুপারের বাসায় চাল দেয়ার কথা বলে রাণীনগরে দারোগা পরিচয়ে ২০ বস্তা চাল নিয়ে প্রতারক উধাও

পুলিশ সুপার ও জেলা সুপারের বাসায় চাল দেয়ার কথা বলে রাণীনগরে দারোগা পরিচয়ে ২০ বস্তা চাল নিয়ে প্রতারক উধাও

বিকাশ চন্দ্র প্রাং, স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ
নওগাঁর পুলিশ সুপার ও জেল সুপারের বাসায় চাল দেয়ার কথা বলে নিজেকে দারোগা পরিচয়ে এক প্রতারক ২০ বস্তা চাল নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। মেছের আলী নামে এক ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চালগুলো নিয়ে উধাও হয় প্রতারক। ওই চাল ব্যবসায়ী তার পজিটুকু হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে। চাল ব্যবসায়ী জেলার রাণীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের মনিব উদ্দীনের ছেলে।
চাল ব্যবসায়ী মেছের আলী জানান, শুক্রবার বিকেলে নওগাঁ সদর মডেল থানার দারোগা পরিচয়ে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে (০১৯৯২-২৮৩০১৫ নং থেকে) ওই চাল ব্যবসায়ীর নিকট নওগাঁর পুলিশ সুপার ও জেল সুপারের বাসায় ২০ বস্তা মিনিকেট চাল প্রয়োজন বলে জানায়। যে দামই হোক না কেন কিনে নিবে।
শনিবার সকালে কথা অনুযায়ী ওই দারোগা একটি সিএনজি নিয়ে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামে ওই চাল ব্যবসায়ীর কাছে যান। তার নিকট থেকে ২০ বস্তা চাল ক্রয় করে দুটি ভ্যানে করে পুলিশ লাইন ও জেলখানার দিকে আসতে থাকে চাল ব্যবসায়ীকে সঙ্গে নিয়ে। চাল দিয়ে টাকা পরিশোধ করে দিবে কোন অসুবিধা নাই। নগর ব্রিজের নিকট এসে দুটি টমটম ৭শ” টাকায় ভাড়া করে ওই চালগুলি পাল্টিয়ে কাঁঠালতলী হয়ে নওগাঁ পুলিশ লাইন ও জেলখানায় আসতে বলে।
তিনি আরও জানান, ৮ বস্তা চাল জেলখানায় নামবে জেল সুপারের বাসায় আর ১২ বস্তা চাল পুলিশ লাইনে নামবে এসপির চাল। সে অনুযায়ী টমটমে আসতে থাকে। আর সিএনজিতে চাল ব্যবসায়ী আর ওই ারোগা চলে যায়। কাঁঠালতলী এসে টমটম দুটি বাইপাস মোড় হয়ে যাওয়ার কথা বলে। বাইপাস মোড়ের দিকে যেতে লাগলে টমটম দুটি থামিয়ে টমটমে চড়েন ওই কথিত দারোগা। আর সিএনজিতে চাল ব্যবসায়ীকে তুলে দিয়ে পুলিশ লাইন ও জেলখানাতে যেতে বলে ওখানেই চালের টাকা য়ো হবে। সিএনজি পুলিশ লাইনে আসলেও টমটম কিছুদুর আসার পরে একটি ছোট টাটার পিকআপ ভ্যানে উক্ত ২০ বস্তা চাল পাল্টিয়ে টমটমের ভাড়া দিয়ে বগুড়ার দিকে চলে যায়। চাল ব্যবসায়ী মেছের আলী পুলিশ লাইনের গেটের পাশে অনেকক্ষন বসে থাকার পর তারা না আসলে টমটম ওয়ালাকে ফোন করলে সে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। পরে ওই দারোগার নম্বরে মোবাইল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া য়ায়। চালগুলোর আনুমানিক মুল্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা। তার সামান্য পুঁজিতে চাল ব্যবসা করে কোন রকমে সংসার চালাতো। সে নিঃস্ব হয়ে গেল বলে জানায় তিনি।
এবিষয়ে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু ভুক্তভোগির কাছ থেকে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment