২০ বছর আগের কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ভারতের রাজস্থানের জোধপুরের আদালত। বণ্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের ৯-এর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ৫২ বছর বয়সী এই অভিনেতাকে।
এই মামলায় অন্য চার অভিযুক্তদের মধ্যে সাইফ আলি খান, টাবু, নীলম ও সোনালী বেন্দ্রেকে বেকসুর ঘোষণা করেছে আদালত। এ সময় তারা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিরল কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সালমানের ১ থেকে ৬ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
সালমানের আইনজীবী এইচ এম সারস্বতের দাবি, সরকারি কৌঁসুলি অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ সংগ্রহ করতেই পারেননি। মামলা সাজাতে ভুয়ো সাক্ষী দাঁড় করিয়েছেন। এমনকী বন্দুকের গুলিতেই যে কৃষ্ণসার দু’টির মৃত্যু হয়েছিল, তা-ও সরকারি কৌঁসুলি প্রমাণ করতে পারেননি।
২৮ মার্চ নিম্ন আদালতে কৃষ্ণসার মামলার চূড়ান্ত পর্যায়ের শুনানি শেষ হয়। অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ১৯৯৮ সালের ১ এবং ২ অক্টোবর যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শ্যুটিংয়ের মাঝে আলাদা আলাদা জায়গায় দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেছিলেন সালমান। সেই সময় তার সঙ্গে সাইফ, নীলম, টাবু ও সোনালী ছিলেন।
রাজস্থানের কঙ্কানি এলাকায় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গুলির শব্দ শুনে তারা সালমানদের জিপসি গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিলেন। কিন্তু তাদের ধরা যায়নি। সেই সময় চালকের আসনে ছিলেন স্বয়ং সালমান। প্রবল গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে তারা পালিয়ে যান বলে দাবি করেন গ্রামবাসীরা।
বলিউড সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে সালমানের উপর এক হাজার কোটিরও বেশি লগ্নি রয়েছে। তার জেল হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ল এই ফিল্মগুলির ভবিষ্যত্। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
