দাকোপের বাজুয়ায় ডে নাইট পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

দাকোপের বাজুয়ায় ডে নাইট পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
পাপ্পু সাহা,দাকোপ, খুলনাঃ-
খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার লাউডোব অগ্রগামী যুবসংঘের মাঠ প্রঙ্গনে বৃহস্পতিবার বিকাল  ৪টার  ডে-নাইট পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কোটিকোটি টাকা আত্তসাৎতের অভিযোগে এক জরুরী প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বাজুয়া ও লাউডোবের বিশেষ বিশেষ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে অগ্রগামী যুবসংঘের সামনে শেষ হয়।বিক্ষোভ মিছেলে  ম্যানেজার কবির আহমেদ ও সকল কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয় ভুক্ত ভোগীরা। ভুক্তভোগীরা যাতে করে তাদের টাকা ফেরত পায় সেলক্ষে জেলাপরিষদের সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড রজত কান্তি শীলের  আহবানে  উক্ত সভায় বক্তিতা করেন কৈলাশগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিহির মন্ডল, মানষ রায় দেবেন্দ্রনাথ মিস্ত্রী, তপন রায়, তাপস হালদার, রাসেল রনি মন্ডল, স্বপ্না কর,  প্রমুখ বক্তরা আইনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা কিভাবে টাকা ফেরত পেতে পারে এবং গ্রাহকরা টাকা চাইতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে সেদিকে দৃষ্টিপাত করা হয়।দাকোপের চালনা বাজারে ডে-নাইট পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে সরকারী নিবন্ধন বিহীন সমিতি কয়েক হাজার গ্রাহকের ২কোটি টাকা সংস্থার কথিত পরিচালকগন ও চালনা শাখা ব্যাবস্থাপকের যোগসাজসে আত্নসাত হয়েছে। এদিকে বাজুয়া  এরিয়া এলাকার ডে নাইট উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্হাপক কবির আহমেদ গ্রাহকদের টাকা   আত্তসাৎ করে লাপাত্তা রয়েছে তাকে মুটোফোনে বারবার চেষ্টা করেও কোন হদিস মিলছেনা। ভুক্তভোগীরা তার কর্মিদের সাথে প্রতিনিয়ত সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। বক্তারা বলেন গ্রাহকগন কর্মীদের নিকট টাকা চাইতে গেলে তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে কেস মামলার হুমকী দিচ্ছে। বিষয়টির আশু  কোন সমাধান না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে এলকাবাসী ধারনা করছে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায় উক্ত সংস্থার পরিচালকগন ও স্থানীয় এরিয়া ম্যানেজার কবির আহমেদ ও সুফলা মন্ডল গত দুই বছর আগে থেকে গ্রাহকের সঞ্চয় কৃত টাকা আত্নসাতের ষড়যন্ত্র শুরু করে। কর্মিদের তথ্য অনুসারে সমিতির এরিয়া ম্যানেজার সুফলা মন্ডল সংস্থার লিখিত কোন অনুমতি ব্যাতিত চালনা বাজার, পানখালী পারচালনা খলিশা, তিলডাঙ্গা থেকে অবৈধ পন্থায় কর্মিদের সংস্থার কোন কর্মকর্তা অথবা  সুফলার স্বাক্ষরিত কোন নিয়োগ পত্র অথবা পরিচয় পত্র ব্যাতিত ২৭ জন কর্মি নিয়োগ দান করেন। এবং টাকার দায়িত্ব নিজ কাধে নিয়ে তাদের দিয়ে ২ বছরে সমিতির সদস্য সংখ্যা ৪/৫ গুন বৃদ্ধি করেন। সমিতির একাধীক গ্রাহকদের জমাকৃত টাকার মাসিক রশিদ গুলি যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে একটি সদস্যর ১০ টি রশিদ থাকলে সেখানে ১০ টি রশিদে ভিন্ন ভিন্ন ১০ জন লোকের স্বাক্ষর, উলেখ্য রশিদে গ্রহন কারী হিসাবে সুফলার অবৈধ নিয়োগ কৃত  চালনা শাখার ক্যাশিয়ার কৃষ্ণা রানীর স্বাক্ষর কোথাও নেই। অথবা ম্যানেজার সুফলার কোন স্বাক্ষর নেই এমনকি স্থানীয় কোন কর্মির কোন স্বাক্ষর নেই। ঐ মাসিক টাকার রশিদেের স্বাক্ষর কৃত ব্যক্তিদের কোন কর্মি সনাক্ত ও করতে পারেনি। সদস্যদের সঞ্চায়কৃত টাকা কর্মিরা ক্যাশিয়ার কৃষ্ণা রানীর নিকট জমা করে। কিন্তু জমাকৃত টাকা চালনা বাজারের কোন ব্যাংকের কোন শাখায় কোন একাউন্টে জমা দেওয়া হয়নি। এমন কি এই সংস্থার নামে চালনা বাজারের কোন ব্যাংকের কোন শাখায় একাউন্ট ও নাই। এবং সংস্থার পরিচালকগনকে দেওয়া কোটি কোটি টাকার ব্যাংকে রশিদ  কিম্বা কোন বৈধ্য ডকুমেন্ট ম্যানেজার সুফলা মন্ডল দেখাতে পারেননি। উক্ত সংস্থা পরিচালকগনের নিকট দাকোপে একাধীক সংস্থার সাথে দীর্ঘ দিন জড়িত প্রবীন এনজিও কর্মী, ডে- নাইট  পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের
এরিয়া ম্যানেজারের সুফলা মন্ডল ব্যাংকে জমাকৃত রশিদ অথবা ডকুমেন্টে ছাড়া দাকোপ থেকে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা কি ভাবে পাচার করলো। ভুয়া সংস্থার কথিত ভূয়া পরিচালকগন ও এরিয়া ম্যানেজার সুফলা মন্ডল যৌথ ভাবে দাকোপের গরীব অসহয় মানুষে রক্ত ঘাম পানি করা ২ কোটির অধিক টাকা সম্পূর্ণরুপে আাত্নসাত করেছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য এরিয়া ম্যানেজার সুফলা মন্ডল, দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুল আলমের নিকট নিজে স্বীকার করেছেন যে খুলনা সমাজ কল্যান অফিসে ডে-নাইট পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে কোন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নাই। এই প্রতিষ্ঠানে চালনা বাজারের কথিত অফিসে দীর্ঘ দিন থেকে সংস্থার নামে কোন সাইনবোর্ড ও দেখা যায় না। সুফলা মন্ডলের সাথে থেকে এই সমিতির দুইজন অবৈধ্য কর্মি এই টাকা আত্নসাতে সহযোগীতা করেছেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে যানাযায়। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর প্রশ্ন কি ভাবে একটি অবৈধ্য প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর চালনা বাজারে প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকে এলাকার গরীব অসহয় মানুষের কোটি টাকা আত্নসাত করলো সেই আলোচনা এখন চালনা বাজার ও বাজুয়া বাজারে সর্বত্র। এত কিছুর পরও লাউডোবের চড়ারবাধেঁ চলন্তিকার নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment