৪ মাস বেতন-ভাতা পাচ্ছে না মোবারকগঞ্জ সুগারমিলের ১ হাজার ১০ জন শ্রমিক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা

৪ মাস বেতন-ভাতা পাচ্ছে না মোবারকগঞ্জ সুগারমিলের ১ হাজার ১০ জন শ্রমিক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা

রিয়াজ উদ্দীন (ঝিনাইদহ) জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অবস্থিত দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের গোডাউনে ৩৬ কোটি টাকার চিক্রি অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে। গোডাউনে ৩৬ কোটি টাকার চিনি পড়ে থাকলেও তা বিক্রি করতে না পারায় ৪ মাস বেতন-ভাতা পাচ্ছে না সুগারমিলের ১ হাজার ১০ জন শ্রমিক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। চিনি বিক্রি না হওয়ায় মূলত আর্থিক দৈন্যতা দেখা দিয়েছে সুগারমিলটিতে।
তবে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী শিকদার জানিয়েছেন চিনি বিক্রি হলে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেয়া হবে এবং সকল সমস্যা কেটে যাবে।সুগারমিলের প্রশাসন বিভাগরে অফিস সহকারি আব্দার রহমান, শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হুসাইনসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক কর্মচারীরা জানান, সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে তারা বেতন পেয়েছেন। ৪ মাস যাবৎ তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। সুগারমিল থেকে তারা কোন বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।তারা আরো জানান, মিলের গোডাউনে ৩৬ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে। চিনি বিক্রি হচ্ছে না বলে তারা বেতন পাচ্ছেন না। বেতন ভাতা না পেয়ে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ৪ মাস বেতন না পাওয়ায় অনেকে বাজারে দেনা হয়ে পড়েছেন। চাল, ডাল, ক্রয় ও ছেলে মেয়েদের স্কুল ড্রেস, নতুন বই খাতা কিনে দিতে পারছেন না।মোবারকগঞ্জ সুগার মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান জানান, শ্রমিকরা ৪ মাস ধরে কোন বেতন-ভাতা পাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, মিলের চিনির মূল্য কেজি প্রতি ৬০ টাকা । কিন্তু বাজারে চিনির দাম কম। মিলের চিনির চেয়ে বাজারের চিনির দাম কম থাকায় চিনি বিক্রি হচ্ছে না। যার কারনে শ্রমিক,কর্মচারী ও কর্মকর্তারা বেতন পাচ্ছে না। এ কারনে মিলটিতে আর্থিক সংকটে পড়েছে।মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী শিকদার জানান, সুগারমিলটিতে ১০১০ জন শ্রমিক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে। সর্বশেষ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ আছে। গত ৩ মাস তারা বেতন পাচ্ছেন না। এছাড়া চলতি মাস প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। তাদের মোট ৪ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া হয়ে পড়েছে।তিনি আরো জানান, মিলের গোডাউন ৬ হাজার মেঃটন চিনি অবিক্রিত হয়ে পড়ে আছে। প্রতি টন চিনির মিল মূল্য ৬০ হাজার টাকা। সে হিসেবে মিলের গোডাউনে ৩৬ কোটির চিনি পড়ে আছে। মিলের চেয়ে বাজারের চিনির মূল্য কম থাকায় মিলের চিনি বিক্রি হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।তিনি আরো জানান, প্রতি মাসে ১০১০ জন শ্রমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রায় দেড় কোটি টাকার বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। গত ৩ মাসসহ চলতি মাস দিয়ে মোট ৪ মাসে শ্রমিক কর্মচারীদের ৬ কোটি টাকার বেতন-ভাতা বকেয়া আছে। চিনি বিক্রি হলে এসব সমস্যা কেটে যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment