জগন্নাথপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ১৭

 

জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পাইলগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব কাতিয়া গ্রামে গতকাল
সোমবার সকাল ৯টায় একই গ্রামের মুসলিম খাঁনের ছেলে হরুপ খাঁনের সাথে মৃত
জাকারিয়ার ছেলে ফয়েজ আহমেদ এর সাথে গত রবিবার বিকাল থেকে দফায় দফায় সংর্ঘষে
খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,গত রবিবার বিকালে একই গ্রামের ফিরোজ খানের
জায়গায় পাথর রাখাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের হরুপ খাঁনের সাথে কথা কাটাকাটির
এক পর্যায়ে একই গ্রামের মৃত জাকারিয়ার ছেলে ফয়েজ আহমদ শালিশির মাধ্যমে
বিষয়টি মিমাংশা করার চেষ্টা করার সময় হরুপ খাঁনের সাথে সংঘর্ষে ঝড়িয়ে
পরে।রবিবার বার সন্ধায় ও সোমবার সকালে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৭জন আহত হয়েছে।ফয়েজ
আহমদের পক্ষের আহতরা হলেন মৃত জাকারিয়ার স্ত্রী সাবিয়া বেগম (৪৫) ও তার ছেলে কয়েছ
আহমদ (২৭),মৃত আব্দুল করিমের ছেলে সিরাজ উদ্দিন (৬৫),মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে
হোসাইন আহমদ আলামিন (৩৫) ও ইমাম হোসেন অলি (৪০), কামাল মিয়া (৪২),ইকবাল
হোসেন (২৩),জহিরুল ইসলামের ছেলে রেজাউল করিম (২৭) ও আবিদুল ইসলাম (১৭),
সিরাজ উদ্দিনের ছেলে কোর্শেদ আলম (২২) ও আমির উদ্দিন (৩৮) আহতদের জগন্নাথপুর
উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্স ভর্তি করা হলে গুরুতর অবস্থায় ৬জনকে সিলেট এম,জি ওসমানী
হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। একই গ্রামের হরুপ খাঁনের পক্ষের আহতরা হলেন মুসলিম
খাঁনের ছেলে নেছাওর খাঁন (৩৫) ও এমরান খাঁন (২৬), মতিন খাঁনের ছেলে রুমান খাঁন
(৩২), সুন্দর খাঁনের ছেলে পারুল খাঁন (৩৮) ও ইব্ররাহিম খাঁন (৩০), রুয়াব খানের ছেলে
আসরম খাঁন (৪০) এদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফয়েজ আহমদের পক্ষে আহত রেজাউল করিম বলেন,জোর পূর্বক পাথর থেকে রেখে
জায়গা দখল করার চেষ্টা করা হলে আমার চাচা ফয়েজ আহমদ শালিশির মাধ্যমে বিষয়টির শেষ
করার চেষ্টা করলে অপর পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার চাচা বাড়ীতে এসে রাতের
অন্ধকারে হামলা চালায় হামলা থেকে বাচতে আমরা আতœরক্ষা জন্য বাহির হয়ে আসলে
হরুপ খাঁনের পক্ষের লোক আঘাতে আমাদের ১১ জন আহত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে হরুপ খাঁনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ
ব্যাপারে কয়েকজন সাংবাদিক তথ্য কালেকশন করেছেন। আর কত জনকে বলবো? তাহাদের
কাছ থেকে খবর নিয়ে নিবেন।

এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.হারুনুর রশিদের সাথে
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাতিয়ার লোকজন থানায় এসে
যোগাযোগ করে চিকিৎসা জন্য গেছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় নাই।
আমাদের লোক পাঠানো হয়েছে বিষয়টি দেখা হচ্ছে

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment