উত্তাল পদ্মা লঞ্চ যাত্রীদের সাথে র্দূব্যবহারের ছবি ফেসবুকে,শিমুলিয়া- কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ২০ যাত্রী নিয়ে স্পীডবোট ডুবি, লঞ্চ স্পীডবোট বন্ধ, ফেরিতে যাত্রী ঢল

মোঃ ইব্রাহীম,মাদারীপুর প্রতিনিধি।

বৈরি আবহাওয়ার কারনে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা নদী। এসময় ২০জন যাত্রী নিয়ে মাঝ পদ্মায় স্পীডবোট ডুবে যায়  বিআইডব্লিউটিএ  সকল যাত্রী উদ্ধারের দাবী করলেও কয়েকজন নিখোজের শংকা রয়েছে। দুপুরে একটি বালুবাহী ট্রলার থেকে
আরো ২ যাত্রী পদ্মায় পরে যায়। দূর্ঘটনা এড়াতে বুধবার সকাল ৯ টা থেকে এ রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছে
কর্তৃপক্ষ। ফেরি চলাচলও বিঘœ হলেও যাত্রী চাপ সামাল দিতেহিমশিম খাচ্ছে। এদিকে মাঝ নদীতে যাত্রীদের সাথে র্দূব্যবহার ও
মারধরের অভিযোগ উঠেছে নোঙ্গর করা লঞ্চের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। যাত্রীদের সাথে র্দূব্যবহারের কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে দোষীদের বিচার দাবী করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী যাত্রী।কাঁঠালবাড়ী ও শিমুলিয়া ঘাটের একাধিক সূত্র জানায়, বুধবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারনে শিমুলিয়া –কাঠালবাড়ি নৌরুটের পদ্মা উত্তাল হয়ে উঠে। বুধবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে শিমুলিয়া স্পীডবোট ঘাট থেকে প্রায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসার পথে মাঝ পদ্মায় ঢেউয়ের ধাক্কায় শামীম এন্টারপ্রাইজের একটি স্পীডবোট উল্টে যায়। এসময় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ট্রলার ও স্পিডবোট গিয়ে ডুবে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধার করে বলে বিআইডব্লিউটিএ দাবী করে।বিআইডব্লিউটিএ ও স্পীডবোট ঘাট কর্তৃপক্ষ কোন
যাত্রী নিখোঁজ নেই দাবি করলেও অন্যান্য নৌযানে পদ্মা পাড় হতে থাকা যাত্রীরা ডুবে যাওয়া বোটের কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ
থাকতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন। এদিকে এ দূর্ঘটনার পর টনক নড়ে বিআইডব্লিউটিএর । এর পরপরই বন্ধ করে দেয়া হয় এ রুটের লঞ্চ ও স্পীডবোট। ফেরি চলাচলও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।ডাম্ব ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। রো রো ও কেটাইপ ফেরিগুলোও চলছেসতর্কতার সাথে। যেহেগুলো চলছে সেগুলোতেও যাত্রীদের চাপে যানবাহন উঠানো যাচ্ছে না। ফলে একপ্রকার যানবাহন শুন্যই যাত্রী বোঝাই করে ফেরি পারাপার করছে। এতে ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন্ধসঢ়;এদিকে সকালে লঞ্চ পারাপার বন্ধ ঘোষনা করার পর চরে নোঙ্গর করতে বাধ্য হয় যাত্রী বোঝাই অন্তত ১০ -১৫ টি লঞ্চ.৪টি ফেরি। এ লঞ্চগুলোর মধ্যে ২ টি লঞ্চের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যাত্রীদের সাথে র্দূব্যবহার ও মারধরের অভিযোগ তুলে সেই ছবি ও ভিডিও চিত্র ফেসবুকে পোষ্ট করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী যাত্রী।ফেসবুকে পোষ্ট করা এক যাত্রী রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি সকাল ৯ টায় কাঠালবাড়ি থেকে লঞ্চে উঠি। লঞ্চটি মাঝ নদীতে গেলে ঢেউয়ের কবল থেকে বাচতে চরে আশ্রয় নেয়। এসময় আরো ১২-১৫ টি লঞ্চও ও ৪/৫ টি ফেরি চরে নোঙ্গর করে। যাত্রীরা ঘাটে ফেরৎ আসতে চাইলে কয়েকটি লঞ্চের শ্রমিকরা যাত্রীদের উপর হামলা চালায় ও চরম র্দূব্যবহার করে। এর প্রতিকার চাইতে আমি ও কয়েকজন যাত্রী
ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও পোষ্ট করি।ফেসবুকে অভিযুক্ত লঞ্চ অর্পনের কেরানী আঃ রশীদ নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, জলহংস -৪ এর শ্রমিকদের সাথে যাত্রীদের মারামারি হয়েছে। আমি তা বাধা দিয়েছি। আমি কাউকে কিছু বলিনি। স্থানীয় এক যাত্রী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, নদীতে প্রচন্ড ঢেউও স্পীডবোট ডুবিতে সবাই উঠেছে বলে বিশ^াস হয় না।
সেলিনা রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, সকাল থেকেই লঞ্চ ও স্পীডবোট বন্ধ। ফেরি যা চলছে কোনভাবেই উঠতে পারছি না।
বিআইডব্লিউটিএ কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, ্#৩৯;ঝড়ো বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় সকাল
৯টা থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে একটি স্পিডবোট মাঝ পদ্মায় ঢেউয়ের ধাক্কায় ডুবে যায়। শিমুলিয়া
ঘাটে যাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিআইডব্লিউটিসির মেরিন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, পদ্মা প্রমত্তা রুপ ধারন করেছে। সকালে স্পীডবোট ডুবির পর দুপুরে বালুবাহী ভলগেটের ২ যাত্রীও ঢেউয়ের তোড়ে পদ্মায় পড়ে যায়। পরে ফেরি থেকে দড়ি দিয়ে ওদের উঠানো হয়। যাত্রী চাপ সামাল দিতে ফেরি যানবাহন নিতে পারছে না। ঢেউয়ে ফেরি চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment