সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি,জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
অবিরাম  বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল অব্যাহত রয়েছে। সুরমা, পিয়াই ও কুশিয়ারা নদী সহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সুনামগঞ্জ  জেলা সদর সহ বিভিন্ন  উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। নতুন নতুন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে,  সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জানা যায়, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারা বাজার,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ছাতক, জগন্নাপুর ও তাহিরপুর উপজেলার নিম্মাঞ্চলের কয়েক লাখ  মানুষ ইতিমধ্যে  পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন।সুনামগঞ্জ জেলা সদরের পশ্চিম বাজার এলাকায় পানি উঠেছে। জেলার এগারটি উপজেলার মধ্যে সাতটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে পড়েছে।বন্যা জনিত কারনে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক ও জগন্নাথপুর উপজেলার ভবেরবাজার কাঠলৃাইর,গোয়ালাবাজার এবং জগন্নাথপুর – বেগমপুর সড়কে সরাসরি যান চলাচল করতে বন্ধ রয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল হক জানান, তারা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েছেন। পানি বাড়লে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রতিটি উপজেলা আপৎকালীন সহায়তার জন্য ১০ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া আছে। যেসব এলাকায় বন্যার আশংকা রয়েছে সেখানে শুকনো খাবারও পাঠানো হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে সেগুলো বিতরণ করা হবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভূঁইয়া বলেন, সুরমা নদীর পানি বাড়ছে, তবে এটা বন্যার মত কোন পরিস্থিতি নয়। সুরমার পানি বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কুশিয়ারা, চেলা ও পিয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি  পাচ্ছে। প্রতি বছরই এই সময়ে নদীর পানি এই স্তরে প্রবাহিত হয়। তবে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment